নিজস্ব প্রতিনিধি, তিরুঅনন্তপূরম: দেশে ওমিক্রন যখন খোলস ছাড়াতে শুরু করেছে, দেশ তথা বিশ্ব যখন রীতিমতো উদ্বেগে, সেই সময় কেরল থেকে এল সুখবর।
রাজ্য সরকার শনিবার জানিয়ে দিল, কাল রবিবার থেকে শবরীমালায় হবে পূণ্যস্নান। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, ভগবান আয়াপ্পার দর্শনের জন্য ভক্তরা যে কোনও রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন। মন্দিরে থাকতে পারবেন ১২ ঘণ্টা। প্রতিদিন পূণ্যিপুকুরে স্নান করতে পারবেন ৩০ হাজার মানুষ। দেবদর্শন চলবে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত।
সূত্রে পাওয়া খবর উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া যায় কি না, সে ব্যাপারে সম্প্রতি কেরলের দেবাশম সংক্রান্ত দফতরের মন্ত্রী কে রাধাকৃষ্ণন কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে।
পাশাপাশি ভক্তদের থাকার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেরল সরকারের এই ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নাগরিক সমাজের একাংশের প্রশ্ন, পূণ্য আগে না প্রাণ। এই প্রসঙ্গে তারা সর্বশেষ কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, করোনার প্রথম ঢেউ যখন উর্ধ্বমুখী, সেই সময় হরিদ্বারে ঘটনা করে কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হয়। পূণ্যস্নান শুরু হয় ১ এপ্রিল, চলে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। দেখা গেল, কুম্ভ মেলার পর দেশে মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়ে করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি, শুরু হয় মৃত্যু মিছিল। কুম্ভমেলা হয়ে ওঠে সুপার স্প্রেডার।
দেশে করোনা সংক্রমণ অনেকটা হ্রাস পেয়েছে ঠিকই। কিন্তু করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনে বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হওয়া উদ্বিগ্ন যেমন কেন্দ্র, উদ্বিগ্ন দেশের চিকিৎসকমহল। এই পরিস্থিতিতে পিনারাই বিজয়ন সরকার শবরীমালা মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল।