নিজস্ব প্রতিনিধিঃ নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচার নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন বিরোধী শিবিরের একাংশ। এই আবহে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে দুই নেতাকে জবাব দিতে বলেছে কমিশন।
বিজেপি এবং কংগ্রেস দুই দলের বিরুদ্ধেই উঠেছে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় বা ভাষার ভিত্তিতে ঘৃণা ও বিভাজনের অভিযোগ । জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৭৭ ধারা প্রয়োগ করে রাহুল গান্ধি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নোটিশ পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এরফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে চাপে পড়ল বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবির।
কি কারণে প্রধানমন্ত্রীকে নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন? রবিবার রাজস্থানের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস ছিল সেইসময় তারা বলেছিল দেশের সম্পদের উপর মুসলিমদের অগ্রাধিকার রয়েছে সবার আগে। অর্থাৎ যাদের সন্তান বেশি তাদের মধ্যে বণ্টন করা হবে দেশের সম্পদ।“ আর তা নিয়েই শুরু হয় নয়া বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে গিয়ে অভিযোগ করে বাম-কংগ্রেস। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীকে নোটিশ পাঠাল কমিশন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলে বিজেপি। তারা কমিশনের কাছে দাবি করেছেন, দেশের দারিদ্র বৃদ্ধি নিয়ে রাহুল গান্ধির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এছাড়াও কমিশনের কাছে গিয়ে বিজেপি দাবি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছেন রাহুল। তাই সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাহুল গান্ধির জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।