নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সদ্য জিতেছেন উত্তরপ্রদেশসহ দেশের চার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর ও গোয়ায় কার্যত ইতিহাস গড়ে গেরুয়া ঝড় তলার পরে এবার নজর গুজরাটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে দেখতে গেলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য হল এই গুজরাট। কারণ এই গুজরাটেরই ভুমিপুত্র তিনি। আর তাই বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক জয় হাসিল করার পরেই একটুও সময় নষ্ট না করে শুক্রবার থেকেই শুরু হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুদিনের গুজরাট সফর। রোড শো থেকে জনসভা, এক গুচ্ছ কর্মসূচীতে ঠাসা প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।
বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ চার রাজ্যকে নিজের পকেটস্থ করার পরেই এদিন সন্ধ্যায় রাজধানী দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের বাইরের বিজয় উৎসবে সামিল হন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রায় ১ ঘণ্টা ভাষণও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শুক্রবার কাকভোরেই রওনা দিয়েছেন গুজরাটের উদ্দেশ্যে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা মোদির। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে আসবেন বিমানবন্দরের বাইরে। এরপরেই তিনি যোগ দেবেন একটি রোড শোতে। আহমেদাবাদ থেকে গান্ধীনগর পর্যন্ত প্রায় ৬ কিমি রাস্তায় হবে এই রোড শো। সেখানে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার কথা।
রোড শো শেষেই আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে পৌঁছে ‘খেল মহাকুম্ভ’ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে পাঁচটি বয়সসীমা ভাগ করে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হবে। অংশ নিতে পারবেন ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সিরাও। এরপর সন্ধ্যায় আহমেদাবাদের জিএমডিসি গ্রাউন্ডে পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। ‘মারু গ্রাম, মারু গুজরাট’ শীর্ষক আলোচনায় পঞ্চায়েতের খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেবেন, দেবেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
শনিবারও দিনভর আহমেদাবাদে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে মোদির। ওইদিন গান্ধীনগরের রাষ্ট্রীয় রক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি। এরপর শুক্রবারের মতো শনি সন্ধ্যাতেও আহমেদাবাদ স্টেডিয়ামে তাঁর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ১১০০ জন শিল্পী সেই বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই অনুষ্ঠান শেষে দিল্লির পথে রওনা দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।