-273ºc,
Sunday, 4th June, 2023 8:54 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, চেন্নাই: ‘মোদি’ মন্তব্যের জেরে দুই বছরের জেলের সাজা মাথার ওপরে। আর তার জেরেই লোকসভার সাংসদ পদ খুঁইয়েছেন রাহুল গান্ধি। ইতিমধ্যেই রাজীব তনয়ের সাংসদপদ খারিজের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছেন কংগ্রেস নেতারা। বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ দলের শীর্ষ নেতারা। তবে দলের প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে ভিন্ন পথে হাঁটতে চান তামিলনাডুর বিরুদ্ধনগরের কংগ্রেস সাংসদ মানিক্কম ঠাকুর। রাহুলের পাশে দাঁড়াতে লোকসভার সাংসদপদে ইস্তফা দিতে চান তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সাংসদপদে ইস্তফা দেওয়ার অনুমতিও চেয়েছেন।
রবিবার রাতে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন তামিলনাডুর কংগ্রেস সাংসদ মানিক্কম ঠাকুর। একটি ছবিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উর্দি পড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। আর অন্য ছবিতে সংসদ ভবনে রাহুল গান্ধির সঙ্গে দাঁড়িয়ে তিনি। ওই পোস্টে বিরুদ্ধনগরের সাংসদ লিখেছেন, ‘মাননীয় অধ্যক্ষ আমার নেতা রাহুল গান্ধিকে লোকসভার সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। ওই ঘটনার কয়েক মিনিট আগেই তাঁর সঙ্গে আমি দাঁড়িয়ে কথা বলেছিলাম। ২০০৯ সালে আমাকে লোকসভায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। যখন তিনিই সেখানে নেই, তখন আমি থেকে আর কী করব। তাঁর (রাহুল গান্ধি) প্রতি হওয়া অন্যায়ে আমি অত্যন্ত ব্যথিত।’
সূত্রের খবর, শুধু মানিক্কম ঠাকুরই নন, কংগ্রেসের অধিকাংশ সাংসদই চান, রাহুল গান্ধির সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লোকসভার অধ্যক্ষ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লোকসভা ও রাজ্যসভায় বয়কট করা হোক। বাজপেয়ী জমানায় যেভাবে বয়কট করা হয়েছিল র্তকালীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজকে।