নিজস্ব প্রতিনিধি : শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন যোগাগুরু বাবা রামদেব। মহিলাদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশন। মহিলা কমিশনকে চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়ে নিলেন যোগাগুরু।
ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে। মহিলাদের এক যোগা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রামদেব মন্তব্য করেন যে, মহিলারা কাপড় পরলে সুন্দর লাগে। সালোয়ার কামিজ পরলেও সুন্দর লাগে। আবার কিছু না পরলেও সুন্দর লাগে। সেই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের স্ত্রীও। রামদেবের এই মন্তব্যে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। তিনি মহিলাদের অসম্মান করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁকে নোটিশ পাঠায় মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশন। নোটিশে যোগাগুরুকে তাঁর মন্তব্যের জন্য দু’দিনের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। সেই সময়সীমার মধ্যেই ক্ষমা চাইলেন রামদেব। নোটিশের উত্তরে রামদেব চিঠিতে লেখেন, ’২৫ নভেম্বর একটি আইনের অধীনে আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু আমি উল্লেখিত আইনে কোনও অপরাধ করিনি। আমি আমার বক্তব্যে মহিলাদের মহিমাকে এবং তাঁদের ক্ষমতায়ানের চেষ্টা করে গিয়েছি। নারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্যে করে তাঁদের সাধারণ পোশাককে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবু যদি আমার মন্তব্যে কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী’।
এদিন মহারাষ্ট্র রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রূপালী চাকাঙ্কর একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি রামদেবের এই চিঠিটি তুলে ধরেন। বাবা রামদেবের এই ক্ষমা চাওয়া চিঠির পর তাঁর নারীদের পোশাক নিয়ে মন্তব্যকে ঘিরে যে বিতর্ক চলছিল, তার ইতি পড়ল।