নিজস্ব প্রতিনিধি: আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা বিদায় নিলেও ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপের দোষরে ভুগছে দেশ। দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। যার ফলে জলের তলায় চলে গিয়েছে একাধিক এলাকা। গ্রাম কিংবা শহর সবজায়গাতেই জল থৈ থৈ। দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে আরও বৃষ্টি বাড়বে তামিলনাড়ুতে। আগামী চারদিন প্রবল বৃষ্টি হবে, যার প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে। তামিলনাড়ুর প্রবল বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তামিলনাড়ু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, চেন্নাই, থেনি এবং মাদুরাই জেলাতে ঘটেছে এই মৃত্যুর ঘটনা। বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি ৭০টি বাড়ি এবং ২৬৩টি মতো কুঁড়ে ঘর ভেঙে গিয়েছে। ১ হাজার ৪০০-র বেশি মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর ১৪ টি এলাকায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে, নীলগিরিস, কোয়েম্বাটুর, তেনকাসি, তিরুভাল্লুর, দিন্ডিগুল এলাকায়। আইএমডি জানিয়েছে, আগামী পাঁচদিন এই রাক্ষুসে নিম্নচাপের জন্য অন্ধপ্রদেশের দক্ষিণে থাকা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ও কেরলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টি হবে ওড়িশা, তেলেঙ্গনা ও পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু এলাকায়। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটির ক্ষমতা কতটা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, গত ছ’বছরে এই ধরনের বৃষ্টি হয়নি তামিলনাড়ুতে। বৃষ্টিপাতের কারণ হিসাবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া একটি নিম্নচাপকে দায়ী করছেন তাঁরা।
বৃষ্টির দাপটে বন্ধ রাখা হয়েছে তিরুভাল্লুর, চেঙ্গলপাটটু ও কাঞ্চিপুরমের সমস্ত স্কুল ও কলেজ। আগামী চারদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের তরফে। জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি অফিসও। বেসরকারি কর্মীদের প্রশাসনের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, তাঁরা যেন বাড়ি থেকে কাজ করেন। অর্থাৎ পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক তা বোঝাই যাচ্ছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা বারবার পরিদর্শন করছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন।