নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় সাধারণ নির্বাচন। আর সেই গোয়াকেই পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু গোয়াতেও নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই মারমুখি হচ্ছে সেখানকার শাসকদল বিজেপি সরকার। কিছুদিন ধরেই গোয়ায় তৃণমূলের নানা কার্যালয় ভাঙচুর ও আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। পানাজিতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় আগেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
গোয়া বিধানসভা ভোটের প্রচারে শাসকদল বিজেপি বাধা দিচ্ছে-এই অভিযোগ তুলেই এদিন দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। চারজনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন চার সাংসদ সৌগত রায়, আবির বিশ্বাস, শান্তনু সেন ও অপরূপা পোদ্দার। কিন্তু এই টার্গেটে তৃণমূল কেন? ও গোয়া বিধানসভায় ভোটপ্রচারে বাধা কেন দেওয়া হচ্ছে? প্রশ্ন তুলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করেন সৌগত রায়রা।
জাতীয় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রথমবার গোয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। তা সত্ত্বেও আমাদের আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। দিন কয়েক আগে পানাজিতে আমাদের পার্টি অফিসে গভীর রাতে হামলা চালানো হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরও করা হয়। কমিশনকে সমস্ত বিষয় জানানো হয়েছে। ওনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, গোয়ায় যাতে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, তা দেখবেন। প্রচারেও তৃণমূল কংগ্রেসকে নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় ২৫ মিনিট কথা হয়েছে ফুল বেঞ্চের সঙ্গে। আমরা কথা বলে সন্তুষ্ট। বিজেপি নেতা তেজস্বী সূর্ব দাবি করেছেন আমাদের পানাজি কার্যালয়ে হামলার বিষয়টি ভুয়ো। আমরা নাকি নিজেরাই এমনটা করেছি! তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। তেজস্বী সূর্যর নামে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছি আমরা।’