নিজস্ব প্রতিনিধি, উন্নাও (উত্তরপ্রদেশ): ভোটের আগে ফের সংবাদ শিরোনামে উন্নাও।
এক দলিত তরুণীকে খুন করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা আর দেহ আলাদা করে দেওয়া হল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সে কথাই বলছে। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রীতিমতো বিড়ম্বনায় যোগী সরকার। বিরোধী-শিবির ইতোমধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা বলে যে কিছু নেই সেটা আরও একবার প্রমাণিত হল। প্রমাণিত হল, মুখ্যমন্ত্রী মুখে দলিতদের নিরাপত্তার কথা বললেও বাস্তবে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ মোটেই নিরাপদে নেই।আর লখিমপুরের মতো এই ঘটনাতেও জড়িয়ে গিয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রীর ছেলের নাম।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ৮ ডিসেম্বর থেকে ওই তরুণী খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তরুণীর মা জানিয়েছেন, তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে জানায়, মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছে। চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। দ্রুত সে ফিরে আসবে।
গত বৃহস্পতিবার প্রাক্তন মন্ত্রী রাজোল সিংয়ের তৈরি করা আশ্রমের পাশে একটি সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ রক্তমাখা বস্তা উদ্ধার করে। বস্তা খুলে দেখে তরুণীর গলা-কাটা দেহ। আর যেখান থেকে বস্তা উদ্ধার হয়েছে, তার ঠিক পাশেই রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী ফতেহ বাহাদুর সিংয়ের ছেলে কাজল সিংয়ের একটি আশ্রম রয়েছে। তরুণীর মায়ের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কাজল সিংয়ের হাত রয়েছে। তাই, পুলিশ তদন্তে গা ঢিলেমি করছে। যদিও উন্নাওয়ের এসএসপি শশী শেখর সিং জানিয়েছেন, তদন্তে চলছে তদন্তের মতো। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মাকে প্রার্থী করে চমক কংগ্রেসের