নিজস্ব প্রতিনিধি, লখনউ: কথায় বলে, ‘যেমন কর্ম, তেমন ফল।’ ৯ বছর আগে ২০১৪ সালে এক নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে দুদ্ধি আসনের বিজেপি বিধায়ক রামদুলারি গোন্ডকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সোনভদ্রের এমপি-এমএলএ আদালত। একই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আর ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি জেলের সাজা হওয়ায় বিধায়ক পদ খারিজ হতে চলেছে বাহুবলী বিজেপি নেতার। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়েছে স্বচ্ছ রাজনীতির স্বঘোষিত ইজারাদার হিসাবে নিজেদের দাবি করা বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে সোনভদ্র জেলার দুদ্ধিতে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন রামদুলারি গোন্ডের স্ত্রী। আর ওই সময়ে এলাকায় বাহুবলী নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোন্ড। ২০১৪ সালের ৪ নভেম্বর স্থানীয় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আদিবাসী সমাজের দাপুটে নেতা হিসাবে পরিচিত গোন্ডের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মাইওরপুর থানায় ধর্ষণের মামলাও দায়ের হয়। পকসো আইনে মামলা রুজু করে। নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লাগাতার হুমকি ও চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গুন্ডের বিরুদ্ধে।
গত বছর বিধানসভা নির্বাচনে গুণধর নেতাকে দুদ্ধি আসনে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করায় বিজেপি নেতৃত্ব। হেসেখেলে জিতেও যান বাহুবলী নেতা হিসাবে পরিচিত গোন্ডে। বিধায়ক হওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ধর্ষণের মামলা সোনভদ্রের এমপি-এমএলএ আদালতে স্থান্তরিত করা হয়। গত মঙ্গলবারই বিচারক আহসান উল্লাহ খান ওই ধর্ষণ মামলায় গোন্ডেকে দোষী সাব্যস্ত করে। আর শুক্রবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক ২৫ বছরের জেলের সাজা শোনান বিজেপি বিধায়ককে। সেই সঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানার অর্থ নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতের রায়ে খুশি প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার।