নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরপাড়া: দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেক বনেদিবাড়ির ইতিহাস। জড়িয়ে রয়েছে অনেক ব্যতিক্রমী ও চমকপ্রদ নিয়ম-রীতি। ঠিক যেমনটা আগরপাড়ার ছাতাপাড়া বাঁড়ুজ্জে বাড়িতে। এখানে দেবী দুর্গা মা নয়, বরং মেয়ে রূপে পুজো করা হয়। এই পুজোর মূল আকর্ষণীয় বিষয়টি হল, বাঙাল-ঘটির মেলবন্ধন। আরও একটি চমকপ্রদ বিষয় হল, পান্তা ভাত খেয়ে যেতে হয় ঠাকুর বিসর্জনে।
আগরপাড়ার ইলিয়াস রোডের ব্যানার্জি বাড়িতে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়েছিল ১১৯৯ সালে। কালের নিয়মে আড়ম্বর কমেছে। তবে আজও কচালার ঠাকুর, সকাল হলেই বাড়িজুড়ে ব্যস্ততা, মায়ের জন্য ভোগ রাঁধা, সকাল, সন্ধ্যায় আরতি নজর কাড়ে। পুজোর দিনগুলিতে পুরুষদের পরণে থাকে ধুতি ও গেঞ্জি, কোমড়ে বাঁধা থাকে গামছা। এখনও সেই নিয়ম মানা হয়।
দশমীর দিন সিঁদূর খেলার পাশাপাশি সিদ্ধি তৈরি করে খাওয়াও এই বাড়ির বিশেষ নিয়মের মধ্য়েই পড়ে। বাড়ির মেয়ে-স্ত্রীরা মা দুর্গাকে বরণ করের বেনারসি পড়ে। আগে প্রতিমা কাঁধে করে নদীতে নিয়ে যাওয়া হত। তারপর দুই নৌকায় প্রতিমা বসিয়ে গঙ্গাবক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর নৌকা সরিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জণ করা হত। তবে বর্তমানে তা আর দেখা যায় না। তবে প্রতিমা কাঁধে করে নদীর ঘাটে নিয়ে যাওয়ার রীতি আজও রয়েছে। বাড়ুজ্জে বাড়ির পুজো দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে লোক আসতেন। গতবছর থেকে অবশ্য কমে গিয়েছে ভিড়। এবারও করোনা বিধি-নিষেধ মেনেই চলছে পুজোর প্রস্তুতি।