নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০ বছরের পুরাতন ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাহিন সার্বজনীন দুর্গাপূজার নাম। কোনও একদিন বাহিন জমিদার বাড়ির পুজো হিসাবে পরিচিতি থাকলেও আজ সেই পুজোই সার্বজনীন ভাবে উদযাপিত হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাহিন গ্রামে। নাগর নদীর তীরে পুরাতন সুবিশাল জমিদার বাড়ি আজও দাঁড়িয়ে আছে সেই সব ইতিহাসকে মনে করিয়ে দিতে।
এলাকাবাসীর দাবি আজও ওই এলাকার অন্যতম আকর্ষণীয় দুর্গাপূজা মানে বাহিন জমিদার বাড়ির মন্দিরে হওয়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা। যেখানে আজ শুধু উৎসব পালিত হয় না, আন্তরিকতাই পুজোর মূলমন্ত্র। বাংলা বিহারের বেশকিছু জনপদ মিলিয়ে ছিল তৎকালীন বাহিন জমিদার বাড়ি। নাগর নদীর তীরে আজও দাঁড়িয়ে আছে সেই রায়চৌধুরী জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। সেই জমিদার বাড়িতে শুরু হওয়া দুর্গাপুজা আজও উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বাহিনে পালিত হয়। সেই সময় পুজোর দিনগুলোতে জমিদার বাড়ির সুবিশাল প্রাসাদ আলোয় ঝলমল করত। আত্মীয়স্বজন অতিথিদের ভীর আর কোলাহলে গমগম করত জমিদার বাড়ির প্রাসাদ। যা আজকালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে।
জমিদার বাড়ির পেছন দিকে নাগর নদীর ঘাটে বড় বড় নৌকা বজরার ভীড় লেগে যেত পুজোর ক’দিন। তবে জমিদারদের বর্তমান প্রজন্ম আজ আর কেউ বাহিনে থাকেন না। ওই জমিদার বাড়ির অংশটা ভারত সেবাশ্রম সংঘকে দান করে বাহিন ছেড়ে চলে গিয়েছেন তারা। বর্তমানে বাহিন গ্রামের বাসিন্দারা চাঁদা তুলে প্রাচীন সেই ঠাকুর দালানেই বাহিন সার্বজনীন পুজা কমিটির নামে পুজা করেন। সেই পুজার প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী আজও দশমীর দিন বিশাল মেলা বসে পুজা প্রাঙ্গনে।