27ºc, Haze
Tuesday, 28th March, 2023 10:56 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: আকাশে-বাতাসে বইছে আগামনী আসার আনন্দ। সামনেই দুর্গাপুজো। পুজোর চারটে দিন গোটা বাংলা মেতে উঠবে খুশির জোয়ারে। তেমনি দুর্গাপুজো ঘিরে আমাদের বাংলার আনাচে-কানাচে জুড়ে রয়েছে একাধিক ইতিহাস। চলুন আজ জানা যাক, সিউড়ির এক বনেদি বাড়ির পুজোর বিষয়ে। যেখানে মা দুর্গার পুজো শুরু হয় মনসা পুজো দিয়ে। বাকি সব জায়গায় দশভূজা দেবী দুর্গার পুজোর রীতিনীতিতে আলাদা থাকলেও, সিউড়ির এই বনেদি বাড়ির দুর্গাপূজো শুরু হয় মনসা পুজোর মধ্য দিয়েই।
তবে সিউড়ির বসাক বাড়ির পুজো ঠিক কত বছর আগে শুরু হয়েছিল তা জানা নেই পরিবারের সদস্যদের। এই বাড়ির পুজো প্রথম শুরু হয় বাংলাদেশে। এরপরে ১৩৬৬ বঙ্গাব্দে ঘট এনে সিউড়ির এই বসাক বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। তারপর থেকে এই পুজো শুরু হয়ে আসছে মহা পঞ্চমীর দিন থেকেই।ওইদিন মা মনসার ঘট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই বাড়ির প্রতিটি সদস্য মহানবমীর দিন পর্যন্ত নিরামিষ খাবার খান, এটাই নিয়ম এই বাড়ির পুজোর। বৈষ্ণব মতে দেবী পুজিত হন এখানে, বলি প্রথা নেই। একসময় এখানে মৃন্ময়ী মূর্তির পুজো হলেও ২০১৭ সালে নবদ্বীপ থেকে পিতলের মূর্তি এনে মৃন্ময়ী মূর্তির পরিবর্তে পিতলের মূর্তি পুজো করেন বাড়ির সদস্যরা।
কারণ হিসেবে পরিবার জানায়, মৃন্ময়ী মূর্তি দিয়ে পুজো করার পর অজ্ঞাত কারণে মূর্তির ওজন এতটাই বেড়ে যেত যে সাধারণ মানুষেরা তা বেদী থেকে নামাতে পারত না। আদিবাসী মানুষদের দিয়েই এই মূর্তি নামানো হত। কিন্তু এখন আর আদিবাসীদেরও পাওয়া যায় না। এরপরই মৃন্ময়ী মূর্তির পরিবর্তে পিতলের মূর্তি পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।পরিবারের সদস্যদের থেকে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে যে সকল রীতিনীতি মেনে পুজো করা হত এই বাড়ির পুজোকে, সেই একই রীতিনীতি মেনে এখানে পুজো করা হয়। যদিও এখন আর বাংলাদেশের কেউই আসেন না এই পুজো দেখতে।