নিজস্ব প্রতিনিধি: কালী পুজোর দিন রাতে কী পোষাক পরতে পারেন, না যে কোনও পোশাক পরতে পারবেন না, তাতেও রয়েছে কিছু বাধা। আসলে কালী পুজোর রাতে থাকে ঘোর অমাবস্যা। তাই সুন্দর ট্র্যাডিশনাল পোশাকও পরতে পারলেও কিছু রঙের পোশাক পরা সম্পূর্ন বারণ। আসলে এদিন যে উল্লাসে বাজি ফাটানো হয়, সেই কথাও মাথায় রাখতে হবে। কারণ ভুল পোশাক নির্বাচনের জন্যেই কালীপুজোর দিন বড় ঝুঁকির মুখে পড়েন অনেকেই। বাজি ফাটানোর সময় সতর্কতার অভাবেই হয় ক্ষতি। তাই এদিন কোন ধরনের পোশাক পরবেন, তা আগে ভাগেই জেনে নিন।
সিন্থেটিকের পোশাক ভুলেও পরবেন না
কালীপুজোর দিন বাজি ফাটানোর সময়ে কোনওভাবেই সিন্থেটিক পোশাক পরবেন না। সিল্ক, শিফন, জর্জেটের মতো ফ্যাব্রিকের কোনও পোশাক বা শিফন শাড়ি এড়িয়ে চলুন। সিন্থেটিকের জামাকাপড়ে আগুন আগে ধরার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও আপনার ত্বকের সঙ্গে আটকে যেতে পারে। তাই হালকা ফ্যাব্রিকের পোশাক, হালকা জুয়েলারি পরুন। এছাড়া কাচের বা কোনও ধাতব চুড়ি পরবেন না।
উৎসবের সময় সুন্দর ট্র্যাডিশনাল শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে পছন্দসই গয়না সবাই পরেন। রঙিন চুড়ি পরে হাত সাজাতে চান। কিন্তু নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখুন। তাই বাজি ফাটানোর সময়ে বা আগুনের ধারে কাছে গেলে এই ধাতব চুড়ি বা কাচের চুড়ি পরবেন না। যদি আপনি টু পিস সালোয়ার কামিজ পরে থাকেন, তাহলে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ওড়না না পরাই ভালো। মোমবাতি বা প্রদীপ থেকে ওড়নায় আগুন লেগে যেতে পারে। তাই এদিন শাড়ি না পরে কুর্তা পরার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে সুতির কুর্তি বেছে নিন। সুতি বা হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরুন। তাঁত, লিনেন ফ্যাব্রিকের কারুকার্য করা শাড়িও পরতে পারেন। কুর্তির ক্ষেত্রেও এই লিনেন বা হ্যান্ডলুমকে গুরুত্ব দিতে পারেন। বাড়িতে কোনও খুদে সদস্য থাকলে তাকেও সুতির পোশাক পরান।