নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতা পুরভোট নিয়ে বঙ্গ বিজেপির ছন্নছাড়া দশাটা আরও একবার প্রকট হল। বুধবার কলকাতা পুরভোটের জন্য দলের যে ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এমন কয়েকটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই কার্যকর করেছে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা এবং রাজ্য সরকার। ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বঙ্গ বিজেপির যাঁরা ইস্তেহারের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কী কলকাতার নাগরিক পরিষেবা সম্পর্কে আদৌ ওয়াকিবহাল?’
এদিন বিজেপি রাজ্য দফতরে এক অনুষ্ঠানে কলকাতা পুরভোটের জন্য দলীয় ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। ‘কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি’ নামাঙ্কিত ওই ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, পাড়ায়-পাড়ায় সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। মহানগরীকে দূষণ মুক্ত করতে ১০টি স্মোগ টাওয়ার তৈরি করা হবে। আদিগঙ্গার পুনুরুজ্জীবন ঘটানো হবে। বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা মেট্রো, ট্রেন, ট্রাম, বাস যাত্রীদের জন্য ইউনিফায়েড বা অভিন্ন কার্ড আনা হবে। ‘হর ঘর জল প্রকল্প’ ও অম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি কার্যকর করা হবে। গোটা বিশ্বে কলকাতার দুর্গাপুজোর সুনাম রয়েছে। ওই মণ্ডপ ঘুরিয়ে দেখার জন্য সরকারি গাইড থাকবে। দুর্গাপুজোকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হবে।
যদিও ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শহরের প্রতিটি বাড়িতে প্রতিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে করোনার টিকাকরণের কাজও চলছে। শুধু তাই নয়, দুর্গাপুজোকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে একদিকে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যেমন কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে, তেমনই ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য আর্থিক সাহায্যও দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের সময়েও তৃণমূলের ইস্তেহারকে অনুসরণ করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে।