নিজস্ব প্রতিনিধি: রইস(Raees) ছবির বিতর্ক যেন কিছুতেই অভিনেতা শাহরুখের পিছু ছাড়ছে না। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আব্দুল লতিফের জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছিল এই ছবি। তবে ছবিতে বিখ্যাত গ্যাংস্টার আব্দুল লতিফকে ঠিকভাবে চিত্রায়ন করা হয়নি, এই দাবি তুলে শাহরুখ খান এবং এই ছবির প্রযোজকদের বিরুদ্ধে ১০১ কোটি টাকা দাবি তুলে মানহানির মামলা করেছিলেন লতিফের পরিবার। এবার গুজরাট হাইকোর্ট নিহত গ্যাংস্টার আব্দুল লতিফের পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা ১০১ কোটি টাকা দাবির মানহানি মামলাটির স্থগিতাদেশ দিল ২০ জুলাই পর্যন্ত। শুধু তাই নয়, এই ছবির প্রচারে যখন আহমেদাবাদ গিয়েছিলেন অভিনেতা শাহরুখ, তখন সেখানে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরেও বিপাকে পড়তে হয়েছিল নায়ককে। কিছুদিন আগেই সেই মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন শাহরুখ। এছাড়া মানহানি মামলাতেও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রেড চিলিজ এন্টারটেনমেন্ট ও এক্সেল এন্টারটেনমেন্ট।
গ্যাংস্টার লতিফের ছেলে মুস্তাক আহমেদ এই মানহানির মামলা দায়ের করলেও, এই মামলা চলার মাঝেই মারা যান তিনি। এখন এই মামলা লড়ছেন লতিফের স্ত্রী ও দুই কন্যা। তাঁদের দাবি ছিল, রইস ছবিটি তাঁদের পরিবারের জন্য খুবই সম্মানহানির। তবে শাহরুখের আইনজীবীর দাবি, এই ধরণের ক্ষতিপূরণের মামলা, যে ব্যক্তি মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়। এমনকী তিনি এও বলেন, এই ছবির চিত্রনাট্য লেখবার সময় লতিফের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, তাহলে এই মামলা কেন? এই মানহানি মামলায় নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছিল, সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিল, এই ছবির নায়ক শাহরুখ, প্রযোজক ফারহান আখতার এবং ছবির পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া।
প্রসঙ্গত, আবদুল লতিফের নামে খুন, অপরহণ, অবৈধ মাদক বিক্রয়সহ একাধিক অপরাধের মামলা চলছিল। ১৯৮০ সালে গুজরাটে রীতিমতো রাজ চলছিল তাঁর।দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন নাকি আব্দুল লতিফ। ১৯৯৫ সালে লতিফকে গ্রেফতার করা হলে, দু’বছর পর জেল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে সে পুলিশের গুলিতে মারা যায়। শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বাতিল করেছে গুজরাট হাইকোর্ট।