নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের বচ্চন পরিবারের খ্যাতি গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বচ্চন পরিবারের অনেক অজানা কাহিনি মাঝে মধ্যেই সংবাদের শিরোনাম বনে যায়। মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন, গোটা জাতির অহংকার। তাই তাঁর পরিবারের সবকটি সদস্যই চর্চার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। বিশেষ করে, চর্চার মধ্যমণি বচ্চন বহুরানী ঐশ্বর্য রাই। মাঝে মধ্যেই অভিষেক- ঐশ্বর্যর দাম্পত্যের নানা খুঁটিনাটি নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়। যা একেবারে জমিয়ে উপভোগ করেন নেটিজেনরা। ২০০৫ সালে, ঐশ্বর্যই কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ভারতীয় মহিলা অভিনেত্রী ছিলেন। এরপর থেকেই তিনি প্রতি বছর এই হাই প্রোফাইল ইভেন্টে যোগ দেন। আর সঙ্গে অভিষেক কেও দেখা যায়। ২০০৭ সালের তাঁদের বিয়ের পর প্রথমবার কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে একসঙ্গে উপস্থিত হন অভিষেক-ঐশ্বর্য।
অভিষেক ২০১২ সালে ফিল্মফেয়ারকে বলেছিলেন, “যদি একজন পুরুষ তাঁর স্ত্রীকে সংযত করার চেষ্টা করে, তবে এর দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, সে নিরাপত্তাহীন। দ্বিতীয়ত, সে তাঁকে বিশ্বাস করে না। আমি একজন নিরাপদ ব্যক্তি এবং তাই স্ত্রীর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে আমার। আর শুধু বউ নয়, যদি কোনও পুরুষ তাঁর গার্লফ্রেন্ড, মা বা কোন মেয়েকে আটকানোর চেষ্টা করে, তাহলে হয় সে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে নয়তো তাঁদের বিশ্বাস করে না এমনটাই ভেবে নিতে হবে। আমি এভাবে বড় হয়েছি না। আমার মা একজন অভিনেত্রী ছিলেন এবং তিনি সবসময় কাজ করে আসছেন। আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কানে আপনার স্ত্রীর সঙ্গে লাল গালিচায় হাঁটতে কেমন লাগে। আমি এই মনোভাবটিকে নৈরাজ্যবাদী বলে মনে করি। কারণ এই প্রশ্নটি নিম্ন মানসিকতার প্রমাণ দেয়। আমি স্বামী হয়ে কিভাবে স্ত্রীর সঙ্গে হাঁটতে পারি, এমনটা বোঝায়?”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা কি কখনও ঐশ্বর্যকে জিজ্ঞেস করেছেন, কেন সে আমার চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে আমার সঙ্গে লাল গালিচায় হাঁটে? সে আমার সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে, কিন্তু আমি তাঁকে সঙ্গ দিতে পারব না এটা ভুল। যদি আমার স্ত্রী সমর্থন করে আমাকে, তাহলে তাঁকেও সমর্থন করা আমার কর্তব্য।” অভিষেক এবং ঐশ্বর্য রাই কন্যা বর্তমানে এক কন্যা আরাধ্যার বাবা-মা। যিনি গত বছর ১১ তম বছরে পদার্পণ করেছেন।