নিজস্ব প্রতিনিধি: গত বছরেই বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের বায়োপিক আসছে। যেখানে মূল চরিত্রে অভিনয় করবেন, বাংলা দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সেটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও ছবিতে মৃণাল সেনের ছেলের চরিত্র এবং স্ত্রীর চরিত্রে কে থাকবেন তাও জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগেও প্রকাশ্যে এসেছেন, ছবির সকল চরিত্রের প্রথম লুক। মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা দেবীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন, অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। তবে চমকের এখানেই শেষ নেই, দিন কয়েক আগেই পদাতিকের প্রথম পোস্টার শেয়ার করে নির্মাতাদের অভিনন্দন জানান খোদ অমিতাভ বচ্চন। আসলে মৃণাল সেনের সঙ্গে দারুণ বন্ধন ছিল বিগ-বির। মৃণাল সেনের হাত ধরেই ১৯৬৯ সালে বলিউডে পা রাখেন অমিতাভ। সেই নির্মাতার জীবনী নিয়ে তৈরি হচ্ছে সিনেমা, তাই তো তিনি পোস্টার শেয়ার না করে থাকতে পারেননি। সঙ্গে সৃজিত এবং চঞ্চলকেও তিনি জানিয়েছেন হার্দিক শুভেচ্ছা।
অমিতাভের এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন লাখ লাখ ভক্তরা। সঙ্গে জানা গিয়েছে, অমিতাভ সেই পোস্টটি গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার হয়েছে। মৃণাল সেনের এই বায়োপিকে অভিনয়ের জন্য চঞ্চলদের শুভকামনা জানিয়ে অমিতাভ লিখেছিলেন, ‘শুভকামনা “পদাতিক”, চঞ্চল চৌধুরী, সৃজিত মুখার্জি।’ ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন অমিতাভ বচ্চন, না বাড়তি পাওনা ‘পদাতিক’ টিমের কাছে। ভুবনজোড়া খ্যাত অমিতাভের এই পোস্টারটি পোস্ট করায় চঞ্চলভক্তদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এই পোস্টটি কয়েক দিনে চার হাজারের মতো শেয়ার পেয়েছে। যা অমিতাভের শেয়ার করা গত কয়েক মাসে প্রথম। সিনেমার পোস্টার অমিতাভের শেয়ার করা চঞ্চলের জন্যেও অনুপ্রেরণা। এই প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেছিলেন, ‘তিনি যদি সত্যিই শুভকামনা জানান, তাহলে এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা হবে। আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি হবে। আমি কখনোই আশা করিনি এমন কিংবদন্তি আমাকে শুভকামনা জানাবেন।’
সেদিন চঞ্চলের বাবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান থাকার কারণে পোস্টটি নিয়ে পরবর্তী কোনো মন্তব্যে করেননি চঞ্চল। অবশেষে সিনেমাটির শুটিংয়ে দেশ ছাড়ার সময় অমিতাভকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চঞ্চল তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ রওনা হয়েছি কলকাতার পথে। উদ্দেশ্য—মৃণাল সেনকে নিয়ে সিনেমা ‘পদাতিক’–এর শুটিং। পদাতিক নির্মাণ করবেন সৃজিত মুখার্জি। কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ‘পদাতিক’–এর জন্য তাঁর ফেসবুক পেজ থেকে শুভকামনা জানিয়েছেন এক সপ্তাহ আগেই। তাঁর প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম এবং কৃতজ্ঞতা। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রেরণা এবং আশীর্বাদ। আমার শুভানুধ্যায়ীরা অনেকেই অমিতাভ জি–এর সেই পোস্টটি শেয়ার করে আনন্দ আশীর্বাদের অংশীদারও হয়েছেন। তাঁদের কাছেও কৃতজ্ঞতা।’