নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার প্রথম সারির অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্যতম নাম সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে তিনি এখন শুধু অভিনেত্রীই নন, রাজ্যের শাসকদলের একজন দাপুটে নেত্রীও। সমানতালে দুদিক সামলাচ্ছেন অভিনেত্রী। কিছুদিন আগেই শোনা যায়, বাংলা ছেড়ে এবার বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও নাম জুড়তে চলেছে তাঁর। তবে বিষয়টি এখনও খোলাসা করেননি সায়ন্তিকা। যাই হোক, বড় পর্দায় বহুদিন ধরেই দেখা যায়নি তাঁকে।আপাততঃ জনসেবা করতেই ব্যস্ত তিনি। বর্তমানে তাঁর জীবনটা কলকাতা-বাঁকুড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ‘মহানায়ক’ সম্মান পেয়েছেন। এছাড়াও তাঁর কাঁধে এখন রাজ্য পর্যটন দফতরেরও বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান বলে কথা। একাধারে একাধিক দায়িত্ব সামলাতে ব্যস্ত এখন অভিনেত্রী।
সদ্য জন্মদিন গিয়েছে অভিনেত্রীর। অনুরাগী থেকে কাছের মানুষ কেউই শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি অভিনেত্রীকে। যে তালিকায় সবার উপরেই বোধহয় ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি, সঙ্গে উপহারও পাঠিয়েছেন। আর তা পেয়েই আবেগে আপ্লুত মিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিল ‘দিদিমণি’র তরফ থেকে বিশেষ চিঠিও। যেখানে লেখা ছিল, “প্রিয় সায়ন্তিকা, তোমার জন্মদিনে রইল আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। আগামীতে আসুক আর ও সুখ, সমৃদ্ধি আর সাফল্য এই আশা রাখলাম। পরিবার পরিজনকে নিয়ে ভাল থেকো, সুস্থ থেকো, আনন্দে থেকো। তোমাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
এদিন ইনস্টাগ্রামে সেই চিঠি শেয়ার করে সায়ন্তিকা লেখেন, “যে শুভেচ্ছা বার্তার জন্য সবচেয়ে বেশি অপেক্ষা করেছিলাম। এই আশীর্বাদের জন্য ধন্যবাদ দিদিমণি।” সায়ন্তিকা বর্তমানে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও বটে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হলেও ভোটে হেরে যান তিনি। তবে পরাজিত হলেও রাজনীতির ময়দান ছেড়ে যাননি। গত ২৪ জুলাই মহানায়ক সম্মান পেলেও এ নিয়ে কম কটাক্ষ হয়নি তাঁকে নিয়ে। যদিও ট্রোলিংয়ের জবাব কড়া হাতেই দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।