এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘রামমন্দির উদ্বোধনের দিনটি ছিল ২৪ ঘন্টা বিজ্ঞাপন’, বিস্ফোরক অনুরাগ কাশ্যপ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ২২ জানুয়ারী উদ্বোধন হয়েছে অযোধ্যার ‘রামমন্দির’। দীর্ঘ ৫০০ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রাম জন্মভূমিতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাম লালার মূর্তি। সকল ভারতবাসীদের গর্বের দিন। সেদিন রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামমন্দিরে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। ২২ জানুয়ারী রামমন্দির উদ্বোধনে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রায় ৭০০০ অতিথির। যার মধ্যে ছিলেন দেশের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এক ছাদের তলায় দেখা দিয়েছিলেন বলিউড থেকে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির তারকারা। তবে বলিউডের খানেরা পাননি আমন্ত্রণ। কিন্তু অমিতাভ বচ্চন, আলিয়া ভাট, রণবীর কাপুর, ভিকি-ক্যাটরিনা, অভিষেক বচ্চন-সহ একাধিক তারকারা সেদিন অনুষ্ঠানে ভাগ নিয়েছিলেন।

নরেন্দ্র মোদীর তত্ত্বাবধানে রামমন্দিরের নির্মাণকে ‘বিজেপির বিজ্ঞাপন’ বলে বিঁধলেন বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। বরাবরই তিনি স্পষ্টভাষী। তাই সরকারের অন্যায় নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুললেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ। এর আগেও বহুবার তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। তাতে পেয়েছেন প্রাণনাশেরও হুমকি। কিন্তু কখনই দমে যাননি পরিচালক। সম্প্রতি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে অনুরাগকে রামমন্দিরের উদ্বোধনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যেখানে খেলাধুলা, সিনেমা, ব্যবসা ও রাজনীতির ক্ষেত্র থেকে দেশের তাবড় তাবড় অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। সবার সামনেই নরেন্দ্র মোদীকে ঠুকে অনুরাগ বলেন, “২২ জানুয়ারী যা হয়েছিল তা একটি বিজ্ঞাপন ছিল। আমি এটা কিভাবে দেখতে যেতাম। এটি ছিল ২৪ ঘন্টার বিজ্ঞাপন। আমি নাস্তিক হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল আমার জন্ম বারাণসীতে। আমি ধর্মের শহরে জন্মেছি, ধর্মের ব্যবসা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। আপনি এটাকে রামমন্দির বলেন , কিন্তু এটা কখনোই রামমন্দির ছিল না। এটা ছিল রাম লালার মন্দির। কেউ একজন বলেছে, ‘ধর্ম হচ্ছে বখাটেদের শেষ আশ্রয়স্থল’। যখন আপনার কাছে দেবার মতো কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, তখন আপনি ধর্মের দিকে ফিরে যান। আমি সবসময় নিজেকে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করেছি কারণ আমি বড় হতে দেখেছি।”

অনুরাগ আরও বলেন যে, ‘আমাদের লড়াইয়ের পদ্ধতিকে পরিবর্তন করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রযুক্তি অনেক বেশি উন্নত, তারা স্মার্ট, তাদের বোঝাপড়া আছে। আমরা এখনও আবেগপ্রবণ, আদর্শবাদী মূর্খ। একটি ‘বিপ্লব’ হওয়া এখন একমাত্র উপায়, যদি লোকেরা তাদের মোবাইল ফোনগুলিকে একসঙ্গে ধ্বংস করে দেয়। স্বদেশী আন্দোলনের মতো, যেখানে আমরা প্রতিবাদের চিহ্ন হিসাবে আমদানি করা কাপড় পুড়িয়ে দিয়েছিলাম, যদি আমরা এখন সুযোগ পেতে চাই, আমাদের অবশ্যই আমাদের ফোন এবং ট্যাবলেট ধ্বংস করতে হবে। বিপ্লব ঘটাতে এটাই একমাত্র উপায়। আজকের লড়াই স্বাধীনতার জন্য নয়। এটা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র হিসেবে ভঙ্গি করা।” অনুরাগ আরও বলেছেন, ‘লোকেরা আসল বিষয়গুলিতে ফোকাস করার পরিবর্তে ‘পোস্টার ছিঁড়ে’ তাদের সময় এবং শক্তি নষ্ট করছে। আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক তর্ক শুরু করে আমাদের সময় নষ্ট করছি।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিজ্ঞাপনে তৃণমূলকে নিশানা, সুকান্তকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

৮,৮৮৯ কোটি টাকার মদ, নগদ বাজেয়াপ্ত কমিশনের, শীর্ষে মোদির রাজ্য গুজরাত

একই পরিবারের পাঁচজনকে খুন করে আত্মঘাতী খুনি, ভয়াবহ ঘটনা ছত্তিশগড়ে

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং-লালকৃষ্ণ আদবানিরা

ছেলে স্নাতক, খুশিতে ডগমগ বাবা প্রসেনজিৎ

রবিবার বিজেপির সদর দফতর ঘেরাওয়ের ডাক কেজরিওয়ালের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর