নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্রিকেটার বিরাট কোহলির এখন জীবন দিয়ে শনির দশা চলছে। পরপর কতগুলি ম্যাচে তাঁর দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্যে কপালে ভাঁজ পড়েছে বিরাট এবং তাঁর ভক্তদেরও। এদিকে গণেশ চতুর্থীর দিনই, আলিবাগের জিরাদ গ্রামের কাছে আট একর জমির উপর অবস্থিত একটি বাংলো কিনেছেন বিরুষ্কা পরিবার। যার দাম প্রায় ১৯.২৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে কিশোর কুমারের বাংলোর এক অংশও লিজে নিয়েছেন বিরাট আগামী ৫ বছরের জন্যে। সেখানে নিজের স্বপ্নের রেস্তোরাঁ খুলবেন বিরাট। যাই হোক, খেলোয়াড় যে খুব শীঘ্রই ব্যবসায় মন দেবেন তা হয়তো বোঝাই যাচ্ছে। এদিকে ক্রিকেটাররা মাঠে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হলে ক্রিকেটারদের স্ত্রীয়েরা কেন ঘৃণার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা নিয়েও একটি চলমান বিতর্ক চলছে।
অনুষ্কা-বিরাট বিয়ে করেছেন ২০১৭ সালে। বিয়ের পর ক্রিকেটার যতবারই মাঠে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন, ততবারই আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এইবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন, কিংবদন্তি অভিনেত্রী মুমতাজ। সম্প্রতি, কীভাবে ক্রিকেটারদের স্ত্রীয়েরা সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন সেই সম্পর্কে কথা বলেছেন। কী ভাবে আজকাল সামাজিক মাধ্যম আমাদেরকে সংস্কৃতির মধ্যে জুড়ে গিয়েছে সেই বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৬০-৭০ এর দশকের অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, মনসুর আলী খান পতৌদি, রীনা রায় এবং মহসিন খান রা কখনই নিন্দার শিকার হননি। তাঁরা বিয়ের পর কম অভিনয় করলেও তাঁদের কোনও কটাক্ষের শিকারও হতে হয়নি। সম্প্রতি, মুমতাজ একটি ইংরেজী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, আমাদের সময়ে “টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। সেই সময়গুলি সত্যিই আলাদা ছিল, এখন সবকিছু বদলে গিয়েছে।”
তিনি আরও প্রশ্ন করেছিলেন যে, যখন অভিনেত্রীদের ক্রিকেটার স্বামী এবং প্রেমিকরা মাঠে ভাল করেন, তখন কিন্তু কেউ তাঁদের প্রশংসা করেন না। তিনি এই বিষয়কে “আমাদের সমাজে প্রচলিত যৌনতার প্রতিফলন” বলে অভিহিত করেছেন। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার এই অপব্যবহার নিয়ে চুপ করে থাকেননি অনুষ্কাও। তিনি বলেছিলেন যে, কোভিড -19 লকডাউনের সময় কোহলি অনুশীলন করেছেন আমার বোলিংয়ের সাহায্যে।