নিজস্ব প্রতিনিধি: বুধবারই সামনে এসেছিল যে, ক্যালিফোর্নিয়ায় গ্যাংস্টারের গুলিতে ঝাঁঝরায় নিহত হয়েছেন ভারতের কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ডানহাত গোল্ডি ব্রার। কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই দলের অন্যতম সহযোগী গোল্ডি ব্রার। যার হাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন, মাত্র ২৭ বছরের পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। ২০২২ সালে সিধু মুসেওয়ালাকে নির্মমভাবে খুন করেছিলেন গোল্ডি ব্রার এবং তাঁর দলবল। জানা যায়, প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলি চলেছিল রকস্টার গায়কের বুকে। গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি, ঘটনাস্থলেই মারা যান সিধু। আমেরিকান সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিধু মুসেওয়ালা হত্যা মামলার মাস্টারমাইন্ড, সেই গোল্ডি ব্রারকে ডাল্লা লক্ষবীর গ্যাং সদস্যরা মঙ্গলবার গুলি করে হত্যা করেছে।
এমনকি তাঁকে খুন করার দায়ভার শিকারও করেছে ডাল্লা লক্ষবীর গ্যাং, এবং দীর্ঘদিনের শত্রুতা বিনাশের জন্যই গোল্ডিকে হত্যা করেছে তাঁরা, সেটাও জানা গিয়েছিল। কিন্তু মার্কিন পুলিশ কোনও নিশ্চিতকরণ দেননি। অবশেষে তাঁরাই নিশ্চিত করেছে যে, মঙ্গলবার যে গ্যাংস্টার হত্যা হয়েছে, সে গোল্ডি ব্রার নন। মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেসনো ফেয়ারমন্ট এবং হোল্ট অ্যাভিনিউতে সংঘর্ষের পর দুই ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেন গোল্ডি ব্রার নয়। তাদের মধ্যে একজন পরে হাসপাতালে মারা যায়। ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই অনুমান করেছিলেন যে এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তি কানাডা-ভিত্তিক গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার। কিন্তু সে নয়।
ফ্রেসনো পুলিশ বিভাগ এখন রিপোর্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে যে, “অসত্য। আপনি যদি অনলাইন চ্যাটারের কারণে জিজ্ঞাসা করেন যে শুটিংয়ের শিকার ব্যক্তি ‘গোল্ডি ব্রার’, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে এটি একেবারেই সত্য নয়।” প্রতিবেদনগুলিকে ভুল তথ্য উড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন পুলিশের লেফটেন্যান্ট। তিনি বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ এজেন্সিগুলির দ্বারা ভুল তথ্য ছড়ানোর ফলে আমরা অনুসন্ধান করতে পেরেছি, গোলাগুলি তে গতকাল মৃত্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু, শিকার অবশ্যই গোল্ডি নয়।” কিছু স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিকে ৩৭ বছর বয়সী জেভিয়ার গাল্ডনি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছিল, গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার কানাডায় লুকিয়ে রয়েছেন। তিনি কানাডার ২৫ জন মোস্ট ওয়ান্টেডদের মধ্যে একজন ছিলেন।সতীন্দরজিৎ সিং ওরফে গোল্ডি ব্রারজর বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছিল। ইন্টারপোল তার বিরুদ্ধে একটি রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছে এবং তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে একটি জামিন অযোগ্য পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।