নিজস্ব প্রতিনিধি, সন্দেশখালি: জমি হারিয়ে ডুগরী পাড়ার বাসিন্দারা ডুকরে ডুকরে কাঁদছেন । জমির পাট্টা আছে ,রেকর্ড নেই। আবার কারও রেকর্ড আছে জমির দাগ নম্বর নেই। ধন্দে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুগরীপাড়ার কাবিল মোল্লা ,আনসার মোল্লা, ফজের আলী মোল্লা সুজয় নস্কর রাজু লস্কর সহ একাধিক গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জমির চরিত্র বদল করে সরকারি তথ্য নষ্ট করে বেনামে জমি দখল করে বিক্রি করার অভিযোগ এলাকার দাপুটে নেতা মিজানুর রহমানের(Mizanur Rahaman) বিরুদ্ধে।
সিবিআই প্রতিনিধি দল সোমবার রাজবাড়ী, ডুগড়ি পাড়া ও রাজবাড়ী এলাকায় যান।এই অভিযোগের সত্যতা তথ্য যাচাই করেন এবং গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করেন । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কাবিল মোল্লার অভিযোগ আমরা দীর্ঘদিন এই জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কাজদের জোরপূর্বক শেখ শাহজাহানের(Sk, Sahazahan) একতাবনিষ্ঠ মিজানুর ক্ষমতা বলে আমাদের জমির জোর করে দখল করে নিয়েছে। আমরা সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনের জানিয়ে কোন সুফল পাইনি। সিবিআই ওয়েবসাইটে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। তদন্ত করছে ।আশা করবো আমাদের জমি আমরা ফেরত পাব। সেই আশায় প্রহর গুনছি ইতিমধ্যে শেখ শাহাজানের ডান হাত মিজানুর রহমান বলেন এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
সিপিএমের আমলে জমির পাট্টা দেওয়া ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে এই জমির বিষয় দেখছে এই জমির সঙ্গে আমার কোন যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রের খবর বহু কয়েক দশক আগে বেশ কিছু জমির পাট্টা আছে রেকর্ড নেই। আবার জমির রেকর্ড আছে পাট্টা নেই। সুন্দরবনের ভৌগোলিক মানচিত্রে বারবার দেখা গেছে তখনই এই জমি দখলের কথা উঠে আসে। সেই জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে ধন্দে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।