নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডে একদিকে যেমন খুশির খবরে পরিপূর্ণ, অন্যদিকে দুঃখের খবরে জেরবার। আর বিনোদন মহলের কেউ প্রয়াত হলেই তা ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। প্রয়াত হলেন, বলিউডের তৎকালীন পরিচালক বি সুভাষের স্ত্রী তিলোত্তমা (TILOTTOMA)। সূত্রের খবর, ‘ডিস্কো ড্যান্সার’ (DISCO DANCER) খ্যাত পরিচালক বি সুভাষের প্রয়াত স্ত্রী বহুদিন ধরেই আন্তঃস্থায়ী ফুসফুসের রোগের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। অবশেষে মৃত্যুমুখী লড়াইয়ের কাছে হার মানলেন পরিচালকের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর ধরেই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছিলেন পরিচালকের স্ত্রী। এমনকি অনেকদিন আগেই দুটি কিডনি হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর ডায়ালাইসিস চলছিল।
আর এই কারণেই গত পাঁচ বছর ধরে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুভাষের স্ত্রী। সম্প্রতি, পরিচালকের বিষয়ে উঠে এসেছে আরো একটি তথ্য, পরিচালক নাকি অনেকদিন ধরেই আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন। এমনকি সাধ্যমত স্ত্রীর চিকিৎসা করানোর জন্যেও টাকা ছিলনা তাঁর কাছে। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে, বি সুভাষ (BABBAR SUBHASH) বলেছিলেন, “আমার মেয়ে শ্বেতা ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অনেক পরিচিতর কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্যে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে তাঁরা আমাকে ফিরিয়ে দেয়নি, তাঁরা আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে সাহায্য করেছিলেন। যেমন, জুহি চাওলা, ডিম্পল কাপাডিয়া, অনিল কাপুর, মিঠুন চক্রবর্তী, ভূষণ কুমার, রতন জৈন এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে কোমল মেহতা এবং সলমন খানও আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্যে সাহায্য করেছিলেন, পাঁচ বছর আগে যখন তাঁর ডায়ালোসিস চলছিল। আমি আমার সমস্ত বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমার খুব কঠিন সময়ে আর্থিক সাহায্য দিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এবং আমার স্ত্রীর জন্য মঙ্গল কামনা করছিলেন।”
বর্তমানে বি সুভাষের দুই মেয়ে ও এক ছেলে। তিনি ১৮ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন। ১৯৭৮ সালে ‘আপনা খুন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয় তাঁর। এরপর সুভাষ পরিচালিত ‘জালিম’, ‘তকদির কা বাদশা’, ‘কসম পানে ওয়াল কি’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অফ টারজান’, ‘কমান্ডো’, ‘লাভ লাভ লাভ’ প্রভৃতি ছবি পরিচালনা করেছিলেন তিনি। তবে তাঁর পরিচালনার সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছবি ছিল, ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডিস্কো ড্যান্সার’, যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এবং এই ছবিটি তাঁকে অনেকটাই খ্যাতি এনে দিয়েছিল।