নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৮ নভেম্বর মধ্য আমেরিকার এল স্যালভাডোর-এ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগীতা, এবার ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৭২তম এডিশনে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন, ‘মিস ইন্ডিয়া’ বিজয়ী দিভিতা রাই। ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় গত ২৯শে জুলাই থেকে ৩রা অগস্ট পর্যন্ত চলেছে সে দেশের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগি বাছাই পর্ব। আর এর মধ্যেই ‘মিস ইউনিভার্স’ আয়োজকদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মতো বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ৬ প্রতিযোগী। তাঁদের অভিযোগ, শারীরিক পরীক্ষার নামে ঘরভর্তি লোকের সামনে শুধুমাত্র অন্তর্বাসে দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁদের!
এমন বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এসে যৌন হেনস্থার শিকার তাঁরা, এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইন্দোনেশিয়ার মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিদের। আয়োজকরা তাঁদের টপলেস হতে বাধ্য করেছে, তেমনটাই জানিয়েছেন ৬ প্রতিযোগির আইনজীবী। এমনকী অর্ধনগ্ন অবস্থায় তাঁদের শরীরে হাত দেওয়া থেকে তাঁদের ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখা শুরু করেছে। যেখানে উঠে এসেছে, পাঁচজন প্রতিযোগিকে ঘরভর্তি লোকের সামনে জামাকাপড় খুলিয়ে চলেছে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এরপর তাঁদেরকে ওই অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মিস ইউনিভার্স আয়োজক দল একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘মিস ইউনিভার্স আয়োজকদের তরফে যৌন হয়রানির অভিযোগ বা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগকে খুব কড়াভাবে নেওয়া হয়েছে। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চ যাতে মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত থাকে, সেটি দেখা আমাদের বড় দায়িত্ব।’ ইন্দোনেশিয়ার মিস ইউনিভার্সের এক প্রতিযোগীর দাবি, তাঁকে পা ফাঁক করে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে বলা হয়।
এই বিষয় নিয়ে প্রথমে আয়োজকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে উত্তর না মেলায় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ছয় প্রতিযোগী। এই বিষয়টি যদি সত্যি হয়, তাহলে মুসলিম অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ায় যে তীব্র বিরোধ হবে তা নিশ্চিত।