নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমানে বলিউড হোক বা টলিউড, যে কোনও ভাষার চলচ্চিত্রের ভাবধারা বদলে গিয়েছে। আশি-নব্বই দশকের চলচ্চিত্রগুলির কাহিনী মুলত পারিবারিক কেন্দ্রিক হত। যাতে বেশি নায়ক-নায়িকার প্রেম নিয়েই ছবির গল্প এগোত। আসলে দর্শকদের চাহিদা অনুযায়িই নির্মিত হতো সেই সকল চলচ্চিত্রগুলি। কিন্তু এখন প্রজন্ম বদলেছে, তাঁদের চিন্তাধারাও বদলেছে। আধুনিক প্রযুক্তির কাঁধে চেপে বিনোদন প্ল্যাটফর্মে যোগ গিয়েছে ওয়েব প্লাটফর্ম। বিভিন্ন ওয়েবসিরিজ, শর্ট ফিল্মগুলিই মানুষকে বেশি আকর্ষণ করছে।
সাবস্ক্রাইব করো, আর ঘরে বসেই মানুষ নিত্যনতুন ওয়েবসিরিজের মজা নিচ্ছেন। যেগুলিই পুরোটাই বন্দি রহস্য, অপরাধ ইত্যাদি কাহিনীতে। কারণ বর্তমানে এইসমস্ত রহস্যজনক থ্রিলারের জনপ্রিয়তাই বেশি দর্শকদের কাছে। তাই বেশিরভাগ তারকারা এখন সিনেমার থেকেও ওয়েবসিরিজের প্রতি ভরসা রাখছেন। এই একই মতামতে বিশ্বাসী বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা আশুতোষ রানা। আগামী ১০ মে জিও সিনেমায় মুক্তি পাচ্ছে তাঁর ওয়েব সিরিজ ‘মার্ডার ইন মাহিম’।
বহুল প্রত্যাশিত সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারে আশুতোষ রানা এবং বিজয় রাজ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন। সিরিজটি একটি সামাজিক ভাষ্য যা পিটার (আশুতোষ রানা) এবং জেন্দে (বিজয় রাজ) এর মধ্যে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুত্বের পুনর্মিলনকে তুলে ধরে এবং ঠাণ্ডা হত্যার রহস্য এবং মুম্বাইয়ের আন্ডারবেলিকে অন্বেষণ করবে। আশুতোষ রানা বলিউডের একজন প্রথম সারির অভিনেতা। নায়ক না হয়েও যে, দর্শকদের মন জেতা যায়, তা পরতে পরতে প্রমাণ করেছেন আশুতোষ রানা। তবে তিনি বেশিরভাগ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রেই অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি তাঁর ওয়েবসিরিজ প্রসংগে কথা বলতে হয়ে বলিউড চলচ্চিত্রের পরিবেশ নিয়েও কথা বলেছেন অভিনেতা।
অপরাধ ঘরানার ছবির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা সম্পর্কে আশুতোষ বলেন, “আমি ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে অপরাধ ঘরানার জনপ্রিয়তা এবং হত্যার রহস্যের বৃদ্ধি লক্ষ্য করেছি। এটি দর্শকদের জটিল আখ্যান এবং চরিত্রগুলিতে নিমজ্জিত করার জন্য মনোযোগ আকর্ষণ করে। আমি এমন কিছু আইকনিক চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি যেগুলি অগত্যা প্রভাবশালী না হলেও দর্শকদের কাছে দৃঢ়ভাবে অনুরণিত হয়েছে।”লেখক জেরি পিন্টোর একটি সমালোচনামূলকভাবে প্রশংসিত বই থেকে গৃহীত, গ্রিপিং সিরিজটি রাজ আচার্য দ্বারা পরিচালিত এবং টিপিং পয়েন্ট ফিল্মস দ্বারা নির্মিত। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রতিভাবান অভিনেতা শিবানী রঘুবংশী এবং শিবাজি সাটাম।