নিজস্ব প্রতিনিধি: বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেত্রী জিনাত আমান (Zeenat Aman), ৭০-৮০ দশকে যিনি কিনা বলিউডে রীতিমতো রাজ করেছেন। একের পর এক কিংবদন্তী অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে একাধিক ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছেন অভিনেত্রী জিনাত আমান। বলিউডে একজন নেতৃস্থানীয় অভিনেত্রী হলেন জিনাত আমান।এমনকী সেই যুগের সাহসী দৃশ্যের অভিনয় করার জন্যে বা বোল্ড পোশাকে সিনেমার দৃশ্যে ধরা দেওয়ার জন্যেও এই অভিনেত্রীর জুড়ি মেলা ভার। এমনকী বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও ধূসর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন এই অভিনেত্রী।
একবার তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তিনি একজন মাদকাসক্ত চরিত্রেও অভিনয় করে দর্শকদের সুনাম কুড়িয়েছিলেন। যার ফলে চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাঁর জন্য আকর্ষণীয় ভূমিকাও তৈরি করতেন। উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মাদকাসক্ত চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, ১৯৭১ সালে ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ নামক একটি সঙ্গীত চলচ্চিত্রে। আর এই ছবিতে দেবানন্দ, জিনাতের ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। এই ছবিটি ছিল, অভিনেত্রীর বলিউডে কেরিয়ারের শুরুর দিকে। আর নায়িকার এহেন চরিত্রেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়ে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি, দিল্লির একটি ইভেন্টে তাঁর অপ্রচলিত ভূমিকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, “আমি সেই সময়ে ধূসর শেডের চরিত্রগুলিতে অভিনয় করেও দর্শকদের দ্বারা বেশ প্রশংসিত হয়েছিলাম, তবে মাদকাসক্তই নয়, মারা যাওয়ার চরিত্র করেও শ্রোতাদের গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলাম।” তিনি তার কেরিয়ারের বিষয়ে বলেছিলেন, “ভারতীয় চলচ্চিত্রে আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম, যখন আমি কিশোরী ছিলাম। আর আমি যখন মা হয়েছিলাম তখনই আমি কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। অনেক অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল- দেবানন্দ, রাজ কাপুর, শাম্মি কাপুর, মনোজ কুমার, আমজাদ খান, ফিরোজ খান এবং সঞ্জয় খানের মতো পরিচালকদের সঙ্গে আমি কাজ করেছিলাম। এই সমস্ত চলচ্চিত্র নির্মাতারা নিজেরাই অভিনেতা ছিলেন।” ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’, ‘কুরবানি’, ‘ধুন্দ’, ‘ডন’, ‘মনোরঞ্জন’, ‘ইয়ারো কি বারাত’ সহ একাধিক ব্লকবাস্টার হিট ছবিতে জিনাতকে দেখা গিয়েছিল।
অভিনেত্রী আরও বলেছেন যে, তিনি কখনই একটি ছবিতে তার বিপরীতে পুরুষ লিড নিয়ে চিন্তা করেননি। সবার সঙ্গেই অভিনয় করতে পারতেন। তবে তিনি পরিচালকের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। “আমার প্রধান ব্যক্তিকে তা আমার কাছে বিবেচ্য নয়। সর্বদা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল আমার পরিচালক এবং লেখক কে,কারণ আমি যে কারও সঙ্গে অভিনয় করতে পারতাম। তবে আমার ক্যামেরার পিছনে একজন ভাল পরিচালক এবং একজন লেখক প্রয়োজন ছিল।” জিনাতকে শেষ দেখা গিয়েছিল আশুতোষ গোয়ারিকরের ছবি ২০১৯ সালে পিরিয়ড ড্রামা পানিপথ। তবে তিনি খুব শীঘ্রই OTT প্লাটফর্মে আত্মপ্রকাশ করছেন এবং দুটি ওয়েব সিরিজ সম্পন্ন করেছেন।