নিজস্ব প্রতিনিধি: গোটা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছোটপর্দার রিয়্যালিটি শোয়ের মধ্যে একটি হল ‘মাস্টার শেফ’। সম্পূর্ণ রান্না কেন্দ্রিক এই রিয়্যালিটি শোয়ের দর্শক সংখ্যাও বিপুল। এই শোয়ের মাধ্যমে অনেকেই রান্নাবান্না শিখেছেন। অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত এই শোয়ের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী ছিলেন জক জনফ্রিল্লো। আজ সকাল সকাল দুঃখের খবর, মাত্র ৪৬ বছরেই নিভে গেল প্রদীপের আলো, মারা গেলেন জক জনফ্রিল্লো। সোমবার সকালে আসা এই দুঃসংবাদে হতবাক গোটা পৃথিবী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে অনুযায়ী, জক জনফ্রিল্লো আর নেই। তাঁর মৃত্যুর খবরে জেরবার সোশ্যাল মিডিয়া। কেউই যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না।
যারা রান্নাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাঁদের কাছে অন্যতম আইডল ছিলেন জনফ্রিল্লো। মাত্র ৪৬ বছর বয়সেই তাঁর প্রয়াণ সত্যই অবিশ্বাস্য। জক জনফ্রিল্লোর পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং চার সন্তান। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রহস্যজনক কারণ রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। তবে ময়নাতদন্তের পরে পুরোটা জানা যাবে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে নিজের রেস্তোরাঁ খোলার আগে সারা পৃথিবী জুড়ে তাবড় তাবড় রন্ধনশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন জক। সেখান থেকেই তাঁর পরিচিতি বৃদ্ধি, যদিও তাঁকে সবচেয়ে বেশি করে পরিচিতি দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ‘মাস্টার শেফ’। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সঞ্চালক ছিলেন তিনি। তাঁর অসাধারণ উপস্থাপনা সহজেই সবার মন জয় করে নিয়েছিল। আর সেটিই এই অনুষ্ঠানটিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে দেয়।
মাত্র ১২ বছর বয়স থেকে রান্নার প্রতি আগ্রহ জনফ্রিল্লোর। তার পর থেকেই ভালোবাসাকে নিয়েই কিছু করার আগ্রহ দেখান তিনি। সেই রান্নাই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল বিশ্বের দরবারে। তাঁর উপস্থিতি সব কিছুর মধ্যে অন্য ধরনের প্রাণ সঞ্চার করত। তাঁর দেওয়া কোনও খাবারের বর্ণনা খাদ্যরসিকদের অন্যতম লোভনীয় ছিল। সেই স্বাদ এখন অনুপস্থিত। সারা বিশ্বকে বিস্বাদের মুখে ফেলেই অন্য জগতের তারা হয়ে গেলে জক জনফ্রিল্লো।