এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

৬৮ বছরে মাত্র ৩ টি সিনেমা, দেশে ভাষা আন্দোলন নিয়ে ছবি হয়েছে কম

নিজস্ব প্রতিনিধি: আজ একুশে ফেব্রুয়ারি, দিনটি সকলের কাছে ভাষা দিবস হিসেবে খ্যাত। বাংলা ভাষাকে মাতৃ ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কম মানুষ শহিদ হননি। বাংলাদেশে আজও এই দিনটি মর্মান্তিক দিন হিসেবে স্বীকৃত। কত মানুষের রক্তে রাঙা হয়েছে ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’-র আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের আখ্যান। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দীর্ঘ লড়াইয়ের পথ হেঁটেছেন শহিদরা। তাই বাংলা নিয়ে আন্দোলন প্রতিবেশী দেশ ভারতবর্ষের কাছেও ‘অস্তিত্ব আন্দোলন’-এর সমার্থক। এ দিনটিকে স্মরণে রেখে একাধিক চলচ্চিত্রও তৈরি করা হয়েছে। যেখানে চিত্রায়িত করা হয়েছে মানুষের তীব্র আন্দোলনের চিত্র। ১৯৫২ সালের পর প্রায় ৬৮ বছরে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে মোট তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র গঠিত হয়েছে। একটি হল ‘জীবন থেকে নেয়া’ ও অন্যটি ‘বাঙলা’, তৃতীয়টি ফাগুন হাওয়ায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিনেমাগুলির বিষয়ে।

জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০)

পরিচালনা: জহির রায়হান, অভিনয়: রাজ্জাক, সুচন্দা, রোজী সামাদ, খান আতা, রওশন জামিল, আনোয়ার হোসেন। ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিখ্যাত গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, ‘এ খাঁচা ভাঙব আমি কেমন করে’-গানটি এই চলচ্চিত্রের গান। বড় বোনের চরিত্রে রওশন ছিলেন অত্যাচারী। যিনি ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানের রূপক। তবে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ছবি বলে দাগানো হয়েছিল এই চলচ্চিত্রকে। সেই অভিযোগে পরিচালক গ্রেফতার হয়েছিলেন, পরে অবশ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে যান।

বাঙলা (২০০৬)

পরিচালনা: শহীদুল আলম খোকন অভিনয়: শাবনূর, হুমায়ুন ফরীদি, মাহফুজ আহমেদ। বাংলাদের বিখ্যাত সাহিত্যিক আহমেদ ছফার ওঙ্কার উপন্যাসের অবলম্বনে তৈরি হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। ছবিটির মূল চরিত্র ছিল এক বোবা স্ত্রী। ভাষা নিয়ে মিছিল হলেই সে উত্তেজিত হয়ে উঠত। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ স্লোগানে তাকে বাংলা’ শব্দটি উচ্চারণ করতে শোনা যায়। এরপরেই তাঁর মুখ দিয়ে গলগল করে রক্তক্ষরণ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

‘ফাগুন হাওয়ায়’

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সবশেষ ছবি বানিয়েছেন অভিনেতা-নির্মাতা তৌকীর আহমেদ। ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ছবিটি এখনও প্রশংসা কুড়িয়ে চলছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন উৎসবে। এ ধরনের ছবি কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে পরিচালক জানিয়েছিলেন, ‘দেশে মুক্তি দেওয়ার মতো ছবি না থাকলে তো বিদেশি ছবিই আসবে। সিনেমা হল তো ফাঁকা থাকবে না। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ছবি নির্মাণ করা বেশ ব্যয়বহুল আর সময়সাপেক্ষ বিষয়। এ অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণ হওয়া প্রয়োজন। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের সার্বিক অবস্থাই আসলে নাজুক। ৪০০-৬০০ টাকায় টিকিট কেটে তো দেশের সব মানুষ ছবি দেখার ক্ষমতা রাখে না।’

এছাড়াও ভাষা আন্দোলন নিয়ে তৈরি সিনেমার মধ্যে রয়েছে রফিক উদ্দিন আহমেদ পরিচালিত ‘হৃদয়ে একুশ’, শবনম ফেরদৌসি পরিচালিত ‘ভাষা জয়িতা’, রোকেয়া প্রাচী পরিচালিত ‘বায়ান্ন’। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কারাগার সিরিজ’। বেশ কিছু প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, ‘বায়ান্নর মিছিল’ নামে একটি ডকুমেন্টারি হয়েছে। আহমদ ছফার ‘ওঙ্কার’ উপন্যাস অবলম্বনে শহীদুল ইসলাম খোকন ‘বাংলা’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মুরলিকান্ত পেটকারের বায়োপিক এবার পর্দায়, ফুটিয়ে তুলবেন কার্তিক আরিয়ান

ভারতীয় ক্রিকেট রানির সঙ্গে অনুষ্কা, RCB-CSK ম্যাচ শুরুর আগে কী কথা হল তাঁদের?

১২ বছর বয়সে মিডিয়ার দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন জাহ্নবী

বাংলা ছবির জয়জয়কার! কানে প্রিমিয়ার হল মুমতাজের ‘পুতুল’

বাংলাদেশের বান্দরবানে সেনার সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩ জঙ্গি

পঞ্চম দফার ভোটের জন্যে মুম্বইতে সমস্ত শুটিং স্থগিত, নির্দেশ AICWA-এর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর