নিজস্ব প্রতিনিধি: এবার অভিনেত্রী সারা আলি খানের জন্যে আইনি বিপাকে পড়ল একটি হেলিকপ্টার কোম্পানী। আপনারা মোটামুটি সবাই জানেন, সারা খান বলিউডের অন্যান্য তারকাদের তুলনায় একটু অন্য ধাঁচের। তিনি ঘুরতে, মজার মজার রিল বানানোর জন্যে বেশি পরিচিত। যা তাঁর ইনস্টাগ্রামে ঢুকলেই বোঝা যায়। সুযোগ পেলেই কখনও মা ও ভাইয়েরা সঙ্গে, কখনও বন্ধুদের সঙ্গে আবার কখনও একাই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন।
কিছুদিন আগেই তিনি কেদারনাথ থেকে ফিরেছেন। আর একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সীমাবদ্ধ অঞ্চলে সারা আলি খান একটি হেলিকপ্টার অবতরণ করে ছিলেন। জঙ্গলের মধ্যে হেলিকপ্টার অবতরণ নিছকই বেআইনি। সেই কারণেই উত্তরাখণ্ডের বন বিভাগ বন্যপ্রাণী সুরক্ষা (সংশোধন) আইন, ২০২২-এর বিভিন্ন ধারার অধীনে সারাকে বহন কারী ওই হেলিকপ্টার কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। হেলিকপ্টারটি ২৮ অক্টোবর মদমহেশ্বর মন্দির এলাকায় অবতরণ করেছিল, যা কেদারনাথ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সীমাবদ্ধ অঞ্চলের অভ্যন্তরে রয়েছে। অভিনেত্রী সেখানে ব্যক্তিগত সফরে গিয়েছিলেন। কর্মকর্তারা সোমবার TOI কে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার কোম্পানির ম্যানেজার এবং এর পাইলট আআন লঙ্ঘনের জন্য মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন।
বন্যপ্রাণী বিধান আরও জানিয়েছেন, “সকাল ১০ টার দিকে হেলিকপ্টারটি অভয়ারণ্যে অবতরণ করে এবং বিকাল ৪.৪৫ টায় তা উড়ে যায়। এমনকী সেই সীমাবদ্ধ এলাকায় হেলিকপ্টার অবতরণের ভিডিওগুলিও বন বিভাগের তথ্যদাতারা শেয়ার করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সংরক্ষিত এলাকায় হেলিকপ্টার চলাচলের জন্য বন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পূর্বে ছাড়পত্র নেওয়ার প্রয়োজন। এদিকে,হেলিকপ্টার কোম্পানি থামবি এভিয়েশনের সিইও গোবিন্দ নায়ার বলেছেন, “আমরা শুধুমাত্র যথাযথ অনুমতি নিয়েই হেলিকপ্টার চালাই। অফিসিয়ালি, আমরা এখনও কোনো নোটিশ পাইনি।”