নিজস্ব প্রতিনিধি: জামিনের আর্জি খারিজ হল আরিয়ান খানের। মুম্বইয়ের আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ বছর বয়সী আরিয়ানকে ৭ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে নেওয়া হল। মূলত তদন্তের কারণে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। আরিয়ানকে সোমবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পরেই তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে।
আদালতের কাছে অনিল সিং জানান, ‘NCB-র পক্ষ থেকে আরিয়ানের ফোন আটক করা হয়েছে। সেখানে অনেক সন্দেহজনক চ্যাট আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে মাদক ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তাই সকলকে একসঙ্গে বসিয়ে এনসিবি-র দফতরে জেরা করা খুব দরকার।’ পাশাপাশি জানা গিয়ে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরিয়ানের। এমনকি তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে এসে টাকা-পয়সার লেনদেনের কথাও।
অন্য দিকে, আরিয়ানের পক্ষ থেকে আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে জানান, ‘ধৃতদের মধ্যে একমাত্র আরবাজকে আমি চিনি। যার কাছ থেকে ৬ গ্রাম চারস উদ্ধার হয়েছে। বাদবাকি কেউ আমার চেনা নয়। এজেন্সি কেবলমাত্র হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করতে পারে না।’
আরিয়ানের পক্ষ থেকে সতীশ মানশিন্ডে আরও জানান, ‘আমাকে এনসিবি-র তরফ থেকে আগেই আটক করা হয়েছিল, ক্রুজে নয়। আমি একজন অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। আমার জন্য এই কারণেই ক্রুজের স্পেশ্যাল সুইট রাখা ছিল।’ যদিও দু’পক্ষের বয়ান শুনে মাদক মামলায় ৭ অক্টোবর অবধি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার তদন্ত করে দেখা হবে, ঠিক কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন আরিয়ান খান।