নিজস্ব প্রতিনিধি: কিছুদিন আগেই অমিতাভ বচ্চন তাঁর কন্ঠ, ছবি, ভিডিও, যাতে তাঁর অনুমতি ছাড়া আর কেউ ব্যবহার করতে না পেরে সেই আবেদন জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বয়ং বিগ বি। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে দিল্লি হাইকোর্ট অমিতাভ বচ্চনের ‘ফটো, কণ্ঠ, নাম বিনা অনুমতিতে আর ব্যবহার করা হবে না’ এই রায় ঘোষণা করেছে কিছুদিন আগেই। কিন্তু আচমকা কেন এই পদক্ষেপ নিতে হল মেগাস্টারকে? অন্তর্বর্তী আদেশের দিন কয়েক বাদেই দিল্লি হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট তথা অভিনেতার আইনজীবী অমিত নায়েক স্পষ্ট করলেন এই বিষয়টা। “কেবিসি লটারি” এর পিছনে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যক্তির নামে উঠে এসেছে প্রবীণ অভিনেতার মামলায়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয় গেম শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'(কেবিসি) তে হোস্ট করছেন অমিতাভ৷ শুক্রবার বিচারপতি নবীন চাওলা, অমিতাভের আবেদনে সাড়া দিয়ে রায়দান করেছেন।
অমিতাভের আইনজীবী অমিত নায়েক ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসকে বলেছেন, “মেগাস্টারের বৈশিষ্ট্যগুলি অপব্যবহার করা হচ্ছিল। একটি জাল ভিডিও কল থেকে, তাঁর ছবিগুলি নিয়ে কেলেঙ্কারি কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আর মেগাস্টারের ছবি ব্যবহার করে লোকেদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছিল। তাঁর নামে ডোমেন ব্যবহার করে “বাণিজ্যিক শোষণ” করা হচ্ছিল৷ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিকাশকারীরা কৌন বনেগা ক্রোড়পতি-এই শোয়ের সঙ্গে বেআইনিভাবে নিজেদের বেআইনি লটারি সংস্থা যুক্ত করে পরিচালনা করছিল। তা দেখেই অমিতাভ মামলা দায়ের করেছিলেন৷”
নায়েক আরও বলেন, “এই অ্যাকশনের কারণ ছিল, যখন আমরা আবিষ্কার করলাম যে মিঃ বচ্চনের নাম, ছবি অনেক লোক ব্যবহার করছেন। তারপরেই আমরা এই বিষয়ে হাইব্রিড পদক্ষেপ নিয়েছি। এই মামলার ভিত্তিতেই আমরা তাঁর নাম, ছবি, কণ্ঠস্বর, তাঁর গুণাবলী ইত্যাদি ব্যবহার না করার জন্য পরম আদেশ পেয়েছি।” তবে, যারা পেশাদারভাবে মেগাস্টারকে অনুকরণ করে তাঁদের ক্ষেত্রেও কি এই নিয়ম বরাদ্দ থাকবে? এ বিষয়ে নায়েক বলেন, “এই আদেশ নিরঙ্কুশ। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি একজন সংবাদ প্রতিবেদক, মিঃ বচ্চন বা কোনো সেলিব্রিটির সঙ্গে আপনার আচরণ ন্যায্য। তবে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে কোনটা ন্যায্য আর কোনটা অন্যায্য। আর শুধুমাত্র মিস্টার বচ্চনই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে তিনি তাঁর নাম, কণ্ঠ কিভাবে ব্যবহার করতে চান। গুজরতে একটি লটারি হয়েছে যেখানে আসামীরা নির্লজ্জভাবে কেবিসির লোগো ব্যবহার করছিল।”