নিজস্ব প্রতিনিধি: কখনও ৪১ ডিগ্রি, কখনও ৪৩ ডিগ্রি, আবার কখনও ৪৫ ডিগ্রি! হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, এই কয়দিন বাংলার তাপমাত্রা এই ক’টা সংখ্যার নিরিখেই ঘুরপাক খাচ্ছিল। রীতিমতো নাজেহাল হওয়ার জোগাড় হয়েছিল রাজ্যবাসীদের। এমন প্রকট গরমের কোপে সানস স্ট্রোকেও আক্রান্ত হয় অনেকেই। এই মাত্রাতিরিক্ত গরমে বাইরে তো দূর, ঘরে থাকাও রীতিমতো বিপজ্জনক ছিল। আর এই গরম থেকে বাঁচতে কলকাতা বাসীর মনে একটাই কথা ঘুরছিল, তা হল কবে বৃষ্টি হবে! আদেউ কী বাংলায় বৃষ্টি হবে! অবশেষে সকলের কথা শুনলেন পবনদেব!
গতকাল সন্ধ্যা নামার আগেই আকাশের মুখ ভারী, প্রথমে দু এক পশলা বৃষ্টি, রাত বাড়িতেই শুরু হয়েছিল কালবৈশাখির তাণ্ডব। মুহূর্তেই কলকাতা শহরে জমে গেল হাঁটুর উপর জল, দমকা হাওয়ায় নিমেষেই ভেঙে পড়ল গাছ গাছালি। একেবারে শহরবাসীকে মুহূর্তের মধ্যেই ঠান্ডা করে দিল বৃষ্টি। তবে গরমের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও রাস্তাঘাটে জল জমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষেরা রীতিমতো বিপাকে পড়েছিলেন। অফিস ফেরত কর্মজীবিদেরও বাড়ি ফিরতে রীতিমতো কালঘাম ছুটেছে। এমনকি টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও জল জমা রাস্তায় নেমে রীতিমতো বিপাকে পড়ে গিয়েছিলেন। নাজেহাল হতে হল ঋতুপর্ণাকে (Rituparna Sengupta)। নিজেই শেয়ার করলেন ভিডিও। আসলে সোমবার শুটিং ছিল অভিনেত্রীর। সন্ধ্যার পর হয় প্যাকআপ।
কিন্তু ততক্ষণে মুষলধারায় বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় কলকাতা ও তাঁর পার্শ্ববর্তী এলাকা। আর অভিনেত্রীর স্টুডিওর সামনেও জলে জলাকার অবস্থা। এমনকি স্টুডির দরজা থেকে গাড়ি পর্যন্তও যেতে কালঘাম ছুটে যায় অভিনেত্রীর। অগত্যা, চুড়িদারের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত তুলে বৃষ্টির জমা জলেই নেমে পড়লেন নায়িকা। ছোট্ট ছোট্ট পায়ে হেঁটে পৌঁছলেন গাড়ি পর্যন্ত। ভিডিও শেয়ার ঋতুপর্ণা ক্যাপশনে লিখলেন, “শুটিংয়ের প্যাকআপ হওয়ার পরে, গতকাল জলমগ্ন রাস্তায়! প্রথম বৃষ্টি।” অভিনেত্রীকে আগামীতে নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের উইন্ডোজ প্রোডাকশনের ‘দাবাড়ু’ সিনেমায় দেখা যাবে। যেখানে তিনি প্রধান চরিত্রের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন, আর এই ছবিতেই দীর্ঘ ২০ বছর পর জুটি বাঁধছেন চিরঞ্জীৎ এবং ঋতুপর্ণা। এর পর আছে ‘অযোগ্য’। যেটা ঋতুপর্ণা ও প্রসেনজিৎ জুটির পঞ্চাশতম ছবি। আগামী ৭ জুন সিনেমা হলে মুক্তি পাবে এই ছবি।