নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২০ সালে প্রয়াত অভিনেতা ইরফান এবং ঋষি কাপুরকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করার জন্যে দিন কয়েক আগেই মুম্বই বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল চলচ্চিত্র অভিনেতা তথা সমালোচক কমল আর খানকে। কমলকে আইপিসির 153A, 294, 500, 501, 505, 67 এবং 98 ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে একটি লুকআউট নোটিসও জারি রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে FIR নথিভুক্ত করেছিলেন যুবসেনা সদস্য রাহুল কানাল৷ KRK-কে প্রথমে মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বোরিভালি আদালতের নির্দেশে তাঁকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে গ্রেফতারির পর তিনি অসুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারির এখনও এক সপ্তাহও কাটে নি, ফের গত ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার গ্রেফতার করা হযল কমলকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শ্লীলতাহানির। ২০২১ সালে করা শ্লীলতাহানির অভিযোগেই তাঁকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে গতকাল অর্থাৎ 4 সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
২০২১ সালের শ্লীলতাহানির মামলায় কামাল আর খান গ্রেফতার
একদিকে বিতর্কিত টুইট, অন্যদিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে একজন ফিটনেস প্রশিক্ষককে তিনি শ্লীলতাহানি করেছিলেন। সেই অভিযোগেই শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ভার্সোভা পুলিশ তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের রায় অনুযায়ী তিনি এখন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। কমলের সেই ফিটনেস প্রশিক্ষক ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে পুলিশের কাছে কমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছির ২০১৯ সালে৷ কিন্তু নির্যাতিতার অভিযোগ, তিনি অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও স্টেপ নেন নি।
কেআরকে সম্পর্কে
কমল আর খান প্রায়শই বলিউডকে প্রকাশ্যজ আক্রমণের করার কারণে শিরোনাম হন। তিনি বেশ কয়েকটি হিন্দি এবং ভোজপুরি ছবিতেও কাজ করেছেন এবং প্রজেক্টও তৈরি করেছেন। তিনি বিগ বস 3-এরও অংশ ছিলেন। গত সপ্তাহেই, কমল আর খানকে অবমাননাকর টুইট পোস্ট করার জন্য মালাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।