এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাজপেয়ি-আদবানি আমলের নেতাকর্মীরা বসে যাচ্ছেন, চাপে বিজেপি

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের অন্দরেই চোরাস্রোত। দলে দলে বসে যাচ্ছেন দলেরই পুরাতন কর্মী থেকে নেতারা। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁরা আর দলের জন্য ভোট চাইছেন না। মানুষকে বুথ মুখীও করে তুলছেন না। আর তাতেই বিপদ বাড়ছে পদ্মের। দলে তুঙ্গে উঠেছে, আদি নব্যের বিবাদ। আর সেই বিবাদই এবার দেশের ক্ষমতার কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) সহ বিজেপির তৃতীয়বারের জন্য প্রত্যাবর্তনের পথে বড় কাঁটা হয়ে উঠেছে। এখন বঙ্গ বিজেপির(BJP) অন্দরে এটাই সব থেকে বেশি চর্চা হচ্ছে। দলের আদি নেতারা মেনে নিচ্ছেন, এই বিজেপি বাজপেয়ি(Atal Bihari Bajpaye)-আদবানির(Lal Krishna Advani) বিজেপি নয়। এই বিজেপি মোদি-শাহের(Amit Shah) বিজেপি। যার সঙ্গে কোনও মিল নেই বাজপেয়ি-আদবানির বিজেপির। আর এই ছবি শুধু বাংলাতেই নয়, দেখা মিলছে বিহার থেকে ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড় সর্বত্র। আর তার জেরেই এই সব রাজ্যে ভোট প্রদানের হার কম থাকছে। অবশেষে এই সত্য উঠে আসছে পদ্ম নেতাদের পর্যালোচনায়।

সঙ্কট ঠিক কোথায়? পদ্মের আদি নেতাদের দাবি, বাজপেয়ি-আদবানির বিজেপি দেশের জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে উঠে এসেছিল কংগ্রেসের বিকল্প হিসাবে। সেই উত্থানের পিছনে সব থেকে বড় ভূমিকা ছিল অটলবিহারী বাজেপেয়ীর। তাঁর নরম হিন্দুত্ব, সৎ ভাবমূর্তি, সবাইকে নিয়ে চলার মনোভাব, দেশের আঞ্চলিক দলগুলিকেও কাছে টেনে এনেছিল। কিন্তু মোদি আর যাই হোন বাজপেয়ী নন। অটল ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্র, সমীহের পাত্র, সম্মাণের পাত্র। মোদিকে সবাই ভয় পান। সেখানে ভালবাসা নেই। আছে শুধু উগ্র হিন্দুতে। যারা ‘মোদি মোদি’ বলে চেঁচান তাঁরা হয় দুর্নীতি থেকে নিজেদের বাঁচাতে চেঁচান, নয়তো ভয়ে চেঁচান। যে আঞ্চলিক দলগুলির কাঁধে ভর দিয়ে এনডিএ গড়ে উঠেছিল এবং বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিল, আজ মোদি জমানায় সেই আঞ্চলিক দলগুলিকেই শেষ করে দিতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছেন মোদি-শাহ। যা শুধু কংগ্রেসের হাত শক্ত করেনি, বিজেপির পায়ের নীচের মাটিও কেড়ে নিয়েছে। এনডিএ-তে এখন তাঁরাই আছে যাদের নিজেদের ক্ষমতায় জেতার মুরোদ নেই, বিজেপির কাঁধে, আরও বলা ভাল, মোদির কাঁধে বন্দুক রেখে জিততে চাইছে। বিজেপি যে মুহুর্তে দেশের ক্ষমতা হারাবে সেই মুহুর্তে এরাও সরে যাবে পদ্মের পাশ থেকে।

দলের আদি নেতাদের আরও বক্তব্য, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নরেন্দ্র মোদি দলের পুরনো মুখকে বিদায় জানিয়ে চলেছেন। কখনও বয়সের অজুহাতে, কখনও আবার প্রভাবশালী অংশকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণদের তুলে এনে। লক্ষ্য ছিল নিজের টিম তৈরি, যাতে সকলেই তাঁর অনুগত থাকে। এভাবেই শান্তাকুমার থেকে লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলীমনোহর যোশি থেকে যশবন্ত সিনহাদের তিনি সন্তর্পণে সরিয়ে দিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে রাজ্য স্তরের প্রভাবশালী নেতাদেরও গুরুত্বহীন করে দিয়েছেন মোদি। কিন্তু এখন নিজের তৃতীয় ইনিংসের মুখে এসে প্রধানমন্ত্রী দেখছেন, পাশা পাল্টেছে। কারণ, এবার আর তাঁর সিদ্ধান্তে নয়, অটলবিহারী বাজপেয়ি এবং লালকৃষ্ণ আদবানি আমলের বিজেপি নেতা-কর্মী-জনপ্রতিনিধিরা নিজে থেকেই বসে যাচ্ছেন। প্রথম দু’দফার ভোটে কমবেশি সব রাজ্যেই প্রদত্ত ভোটের হার কমেছে। তার অন্যতম একটি কারণ হল, বুথ স্তরে বিজেপির শক্তি প্রদর্শনে ঘাটতি। নিজেদের ভোটার, কর্মী এবং নেতাদের ময়দানে নামাতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্ব। বিশেষ করে আদি বিজেপির অনুগামীদের। রাজ্যে রাজ্যে ক্ষোভ প্রকট হয়েছে যে, এই দল আর বিজেপি নেই। মোদির দলে পরিণত হয়েছে। আগে নেতা-কর্মীরাই ছিলেন বিজেপির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখন? কোন নেতা মোদি ও অমিত শাহের অনুগতদের অনুগত, সেটাই বিবেচ্য।

শুধু নন বিজেপি নেতারাই, দেশের অনেক বরিষ্ট সাংবাদিকও দাবি করছেন, এবারের ভোটযুদ্ধে দেশজুড়ে বহু কেন্দ্রে পুরনো আমলের নেতা-কর্মীরা ময়দানে নেই। পাশাপাশি যে শতাধিক এমপিকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একটি বড় অংশের অনুগামী ও কর্মীরা এবার নতুন প্রার্থীর হয়ে প্রচারে সক্রিয়ভাবে থাকছেন না। ভুল হচ্ছে হিসাবেও। নতুন একটি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে গিয়ে পুরাতন বিশ্বস্ত ঘনিষ্ঠ সংগঠনকে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। যেমন উত্তরপ্রদেশে কুড়মি সম্প্রদায়কে কাছে টানতে গিয়ে দূরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, বিজেপির দীর্ঘকালের অনুগত সেনাবাহিনী হিসাবে পরিচিত থাকা গঙ্গোয়ারদের। কার্যত পদ্মের অন্দরে পুরনোদের যেভাবে কোণঠাসা করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর নতুনদের সামনে এনে বিজেপির অসময়ের সাথীদের অপমান করা হচ্ছে তাতে করে দেশের বহু রাজ্যে তলে তলে বিজেপি ইতিমধ্যেই ২ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে। পুরাতন অংশ আর নব্য অংশ। সেই পুরাতন অংশই এখন বসে গিয়েছে। পদ্মের আদি নেতারা চোখের সামনে দেখছেন কীভাবে বাজপেয়িজি ও আদবানিজির আমলের বিজেপিকে মুছে ফেলা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, এই ফল ভুগতে হবে মোদি-শাহকে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস রোড থেকে উদ্ধার ১২ লক্ষ টাকা ,গ্রেফতার ২

অভিজিতের প্রার্থী পদ বাতিলের দাবি শশী পাঁজার

বন্দে ভারতের মেনুতে বিরাট বদল! লাঞ্চ-ডিনারে মিলবে সর্ষে-ইলিশ, কাতলা-কালিয়া

পঞ্চম দফার নির্বাচনে ৭ লোকসভা কেন্দ্রে থাকছে ৬১৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

মঙ্গলবার গোটা বঙ্গ জুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস, ২৩ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরির সম্ভাবনা প্রবল

মমতাকে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিজিৎকে শোকজ নির্বাচন কমিশনের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর