নিজস্ব প্রতিনিধি: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক মোটেও সুমধুর নয়। গাজায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে খুনের প্রতিবাদে তেল আভিভের বিরুদ্ধে সরব তেহরান। পাল্টা ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী সংগঠন হামাসকে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে সোমবার সিরিয়ার দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসের উপরে বিমান হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা।ওই হামলায় দুই শীর্ষ কম্যান্ডার-সহ ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়া অবজারভেটোরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সোমবার দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবনে অতর্কিতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ওই হামলায় রেভিলিউশনারি গার্ডের দুই শীর্ষ কম্যান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমি –সহ ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যদিও সিরিয়ায় ইরানের রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবরি অবশ্য দাবি করেছেন, ইজরায়েলি বিমান হামলায় ১১ জন নন, ৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতরা সবাই বিপ্লবী গার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, দূতাবাসের অ্যানেক্স ভবন লক্ষ্য করে এফ-৩৫ বিমান থেকে মোট ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজরায়েল। হামলায় ভবনটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ধ্বংসস্তুপের নিচে আরও কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তুপ সরাতে যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেই যন্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে। তেহরানের বিদেশ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র ইজরায়েলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘অতর্কিতে হামলা চালিয়ে নিরীহদের হত্যার জন্য চরম মূল্য চোকাতে হবে তেল আভিভকে।’ যদিও দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে হামলা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইজরায়েল।