আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কথাতেই আছে, কপালের না গোপাল। কার ভাগ্য কীভাবে খুলবে, তা কেউ বলতে পারে না। লরা স্পিয়ারের কথাই ধরা যাক। গত ৩১ জানুয়ারি তিনি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। পুরষ্কারমূল্য ছিল প্রায় ২.২ মিলিয়ন পাউন্ড। লটারির টিকিট কেনার পর সকলেরই একটা আগ্রহ থাকে, ভাগ্য খুলল? না আবার ভাগ্য বদলাতে আরও একবার টিকিট কাটতে হবে? তাই, সবার নজর থাকে লটারির ফলাফলের ওপর। কিন্তু লরা স্পিয়ার সব ভুলে বসেছিলেন। এমনকী তিনি যে লটারির একটি টিকিট কেটেছিলেন, সেটাও। টনক নড়ল মেল দেখতে গিয়ে।
তিনি যে লটারিতে কোটি টাকা জিতেছেন, সেটা লটারি কোম্পানির তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন খবর পেলে কার মাথা ঠিক থাকে। লরা স্পিয়ারের মাথাও কিছুক্ষণের জন্য খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরে লটারি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরষ্কার অর্থমূল্য গ্রহণ করেন।
মিরর-য়ের প্রতিবেদন অনুসারে, লরার মতন এমন অনেকে আছেন, যারা লটারির টিকিট কেনার পর আর না দেখেন টিকিটের ফলাফল, না লটারি কোম্পানির তরফ থেকে তাদের দেওয়া ই-মেল তারা পড়ে দেখেন। ফলে, লটারি সংস্থার ঘরে টাকার গাছ তৈরি হয়।
জানা গিয়েছে, ২০১৬-য়ের জুন থেকে ২০১৭-য়ের জুন এই এক বছরে একটি লটারি সংস্থার ঘরে পড়ে রয়েছে ২.৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাদের অবস্থা এখন সাপের ছুঁচো গেলার মত। আবার অনেকে জ্যাকপট জিতেছেন। তাদেরও কোনও হেলদোল নেই। নিয়ম অনুসারে, ক্রয় করা টিকিটের নম্বরের সঙ্গে প্রকাশিত ফলের নম্বর মিলে গেলে টাকার জন্য পরবর্তী ছ মাসের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে।