নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: লোকসভা নির্বাচন নিয়ে যখন গোটা ভারত ব্যস্ত থাকবে, তখনই বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালাবে চিনের লাল ফৌজ। আর ওই খবরেই রীতিমতো ঘুম উবেছে ভারতের শীর্ষ নেতাদের। ঘরের পাশে থাকা বাংলাদেশের মাটিতে চিনের লাল ফৌজের সামরিক মহড়া যে মোদি সরকারের রক্তচাপ কতটা বাড়িয়েছে, তা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের কথাতেই ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, প্রতিবেশী দেশ হোক কিংবা অন্য কোথাও-এই ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় নজর রেখে চলে। ভারতের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়।
এদিন চিনের বার্তা সংস্থা ‘সিনহুয়া’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘ঢাকার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সম্মতি মেলায় চিনের লাল ফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি দল যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে আসবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি মেনেই, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা ও শান্তি স্থাপনের উদ্দেশে ওই প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে এই প্রথম দু’দেশের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উহু কিয়ান জানিয়েছেন, ‘চিন-বাংলাদেশ গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ-২০২৪’ শীর্ষক কর্মসূচির অধীনেই ওই মহড়া চালানো হবে। কীভাবে ছিনতাইবাজদের হাত থেকে অপহৃত বাস উদ্ধার করা হবে, জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া যাবে, সে সব বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে লাল ফৌজের বিশেষ বাহিনী।’ উল্লেখ্য দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানের পরেই চিনের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই শি চিনফিংয়ের দেশ বাংলাদেশে প্রায় আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।