আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন মায়ানমারের সামরিক শাসকরা। আর সেই অপরাধের শাস্তি হিসেবে আসিয়ান সম্মেলনে ডাকাই হয়নি মায়ানমারের বর্তমান সামরিক শাসককে। মঙ্গলবার থেকে মায়ানমারকে বাদ দিয়েই শুরু হল সম্মেলন। ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে অংশ নিয়েছেন সদস্য দেশগুলোর প্রধান নেতারা। সম্মেলনে অরাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে মায়ানমারের উচ্চপদস্থ কূটনীতিক চ্যান আই-ই’কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি যোগ দেননি। সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের।
আসিয়ান গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হল ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মায়ানমার, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। ১৯৯৭ সালে মায়ানমার আসিয়ানের সদস্য পদ লাভ করে। গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সে দেশের সেনাবাহিনী। দেশের প্রধানমন্ত্রী আন সান সু চি সহ দেশের প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়। সামরিক শাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশের আমজনতা। সেই বিক্ষোভ দমাতে দমনপীড়নের রাস্তায় হাঁটে সামরিক জুন্টা সরকার। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে এগারোশোর উপরে বিক্ষোভকারী প্রাণ হারান। বেশ কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত এপ্রিলে আসিয়ানের বিশেষ সম্মেলনে মায়ানমারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারকে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং।
মঙ্গলবার থেকে তিনদিনের আসিয়ান সম্মেলন শুরু হয়েছে। ওই সম্মেলনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শান্তি ফেরাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা।