এই মুহূর্তে




নরওয়ের সমুদ্র উপকূলে ‘রাশিয়ার গুপ্তচর’ তিমির মরদেহ উদ্ধার




নিজস্ব প্রতিনিধি: নরওয়ের উপকূলে বেলুগা প্রজাতির একটি তিমিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তিমিটিকে গুপ্তচর হিসেবে রাশিয়া প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল বলে সন্দেহ করা হয়। জানা গিয়েছে, ভালদিমির নামের তিমিটির মরদেহ নরওয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিসাভিকা উপকূলে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। এরপর তিমিটির মরদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাছের বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে নরওয়ের সমুদ্র উপকূলে প্রথমবারের মতো তিমিটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইনগোয়া দ্বীপের কাছে নরওয়ের নৌকার কাছে প্রথম তিমিটিকে দেখা যায়। এলাকাটির অবস্থান মুরমানস্ক থেকে প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার দূরে। তখন তিমিটির গায়ে লাগানো ছিল একটি গোপ্রো ক্যামেরা।

যাতে লেখা ছিল, ‘সেন্ট পিটার্সবার্গের যন্ত্র’। স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে বেলুগা প্রজাতির তিমিটিকে দেখামাত্রই উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছিল। যা সচরাচর দেখা যায় না। এরপরেই গুজব ছড়ায় যে, এটি গুপ্তচর তিমি। অতীতেও এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ধরনের অভিযোগে রাশিয়া কখনই জবাব দেয়নি। মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহান্তে মেরিন মাইন্ড তিমিটির নিথর দেহ খুঁজে পায়। তবে তিমিটির মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। এমনকী তিমিটির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। তিমিটির দেহাবশেষ উদ্ধার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঠান্ডা জায়গায় রাখা হয়েছে। আর তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে ভেটেরিনারি ইনস্টিটিউট। তিমিটির আনুমানিক বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। তবে বেলুগা প্রজাতির তিমি সাধারণত ৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।

তিমিটিকে যখন প্রথম দেখা যায়, তখনই নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছিল। পরে সংস্থাটি জানায়, রুশ সামরিক বাহিনী তিমিটিকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। কারণ, তিমিটি মানুষের সঙ্গে মিশতে অভ্যস্ত। আর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনের নামেই তিমিটির নামকরণ করা হয়েছিল। নরওয়েতে তিমিটিকে ভালদিমির নামে ডাকা হতো।মেরিন মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান স্ট্র্যান্ড বলেছেন, “গতকাল আমি স্বাভাবিকের মতো তার খোঁজ করার সময় হাভালদিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। আমরা তাকে নির্বিঘ্নে ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পাওয়ার ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় আগে তার বেঁচে থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছিলাম।” সামরিক উদ্দেশে ডলফিনসহ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার। তেমনই হয়তো ছিল এই তিমিটি।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য! ৩২ বছর পর ভিটের টানে ফিরে এল এক বৃদ্ধ

ইয়েমেনে পাহাড়ি রাস্তায় মর্মান্তিক বাস দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

ইজরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ায় নিহত ৭, আহত ১৫

জানেন কি, বিশ্বকর্মার হাতে হাতুড়ি ও দাঁড়িপাল্লা থাকে কেন ?

জেগে ওঠবে ডুবে যাওয়া প্রাচীন শহর! গিলে খাবে অন্ধকার! জেনে নিন কী ঘটবে কলিযুগের শেষে ?

আফ্রিকার পর এবার ভারত, খোঁজ মিলল মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত প্রথম রোগীর

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর