আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সঙ্ঘাত মেটার কোনও লক্ষণই নেই। স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করায় মঙ্গলবার তাইওয়ানের সাত নেতা ও আধিকারিকের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চিন। ওই আধিকারিকদের মধ্যে যেমন রয়েছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত তাইওয়ানের রাষ্ট্রদূত (Taiwan’s de facto ambassador to the United States) সিয়াও বি খিম (Hsiao Bi-khim), তেমনউ রয়েছেন তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিব (Secretary-General of Taiwan’s National Security Council) ওয়েলিংটন কু (Wellington Koo)। যাঁদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাঁরা যেমন চিন, ম্যাকাও ও হংকংয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন না, তেমনই চিনে থাকা তাঁদের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।
চিন বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করলেও দ্বীপটিতে বসবাসকারী অধিকাংশ তা মানতে নারাজ। বরং গত কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতাকামী আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠেছে। চলতি মাসেই বেজিংয়ের হুমকি করে তাইওয়ান সফর করেছিলেন মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (U.S. House Speaker Nancy Pelosi)। আর ওই সফরের পরেই তাইওয়ানের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তাইওয়ানের চারিদিক ঘিরে যেমন চিন সামরিক মহড়া শুরু করেছে, তেমনই তাইওয়ানও নিজের আকাশে যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাইওয়ানকে লাগাতার ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে কোনও মুহুর্তে তাইওয়ানে আক্রমণ চালাতে পারে বেজিং।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান ও চিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির মধ্যেই স্বাধীনতাকে সমর্থন করায় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চিনের তাইওয়ান-বিষয়ক কার্যালয়। বাকি পাঁচ জন তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন