আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দ্রুত পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। যে কোনও মুহুর্তেই ইউক্রেনের উপরে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। যুদ্ধ শুরুর আগে নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিল জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া সরকার। শনিবার তিন দেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন ত্যাগ করুন। সেই সঙ্গে আপাতত ইউক্রেন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অতি সাবধানে থাকতে হবে।’ সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জার্মান বিমান সংস্থা লুফৎহানসা এয়ারলাইন্স।
শনিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যে কোনও মুহুর্তে ইউক্রেনের উপরে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি এবং রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সেনা মোতায়েনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। গত ৩০ জানুয়ারি যেখানে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ রুশ সেনা মোতায়েন ছিল, সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৯০ হাজার। ফলে আশঙ্কা, যে কোনও মুহুর্তে ইউক্রেনের উপরে হামলা হবে।’
রাশিয়া যে কোনও মুহুর্তে ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশঙ্কাপ্রকাশ করার পরেই নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে জার্মান বিদেশ মন্ত্রক। শনিবার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে অবস্থানরত নাগরিকদের জন্য জারি করা বিশেষ অ্যাডভাইজরিতে জার্মান বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া আক্রমণ চালালে নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য খুব সীমিত বিকল্প পথ খোলা থাকবে। ফলে নাগরিকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, অতি দ্রুতই ইউক্রেন ছেড়ে দেশে ফিরুন। কিংবা অন্য কোনও দেশে চলে যান।’
অন্যদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, শনিবার সকালে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ছোড়া গোলার আঘাতে ইউক্রেনের এক সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০টির বেশি জায়গা থেকে ভারী কামানের সাহায্যে গোলাবর্ষণ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতিও নেওয়া শুরু করেছে রুস মদতপুষ্ঠ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।