নিজস্ব প্রতিনিধি: গতবছর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে গাজা-ইজরায়েল বিধ্বংসী যুদ্ধ। প্রায় ৭ মাস ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি বাহিনী। যাতে কিনা এখনও পর্যন্ত বলি হয়েছে ৩৪ হাজার ৬৫৪ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজার ৯০৮ জন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ১৭ লাখেরও বেশি বাসিন্দা। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৩২০ জন সেনা। ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার হচ্ছেন নারী ও শিশুরা। কারণ ইতিমধ্যেই গাজায় প্রাণ হারিয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু। আহত হয়েছেন শতা ধিক শিশু। এদিকে গাজা থেকে পলাতক ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন বাইডেন প্রশাসন। ওদিকে গাজায় বিধ্বংসী যুদ্ধ চালানোর দায়ে ইজরায়েলের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে কলম্বিয়া।
এদিকে ইজরায়েলের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ফিলিস্তিনিদের শেষ নিরাপদস্থল ছিল মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ শহর রাফা। যেখানে গাজার ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়ে ছিল। এবার সেখান থেকেই বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ ইজরায়েলের সেনাবাহিনীদের। শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিল ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের হামলায় ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রবিবার ইজরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস। যে হামলায় তিনজন নিহত হয়েছিল। সেই হামলার জবাব দিতেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার রাফায় ভয়াবহ হামলা চালায় ইজরায়েল। ইতিমধ্যেই রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে IDF জানিয়েছে, টেক্সট মেসেজ এবং গণমাধ্যম সম্প্রচারের মাধ্যমে তাঁরা রাফা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে।
গাজার সর্বত্র হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে ইজরায়েল। যতক্ষণ না তাঁরা জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে দেবে। অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, রাফায় ইসজরায়েলি বাহিনী অনুপ্রবেশ করে হামলা চালালে সেখানে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে। সেখানে ১৫ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি রয়েছে। তবে পূর্বেঘোষিত ‘ব্যাপক পরিসরের স্থল অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে মানুষজনকে রাফার একাংশ থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। সোমবার একটি বিবৃতিতে ইজরায়েল বলেছে, রাফার পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা বেসামরিক মানুষদের নিকটস্থ এলাকায় চলে যেতে বলা হয়েছে, কিন্তু তার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। ইজরায়েলের দাবি, হামাসের অগণিত যোদ্ধা এখনও রাফায় রয়েছে। তাঁদের নির্মূল করা হবে। রাফা খালি করার নির্দেশনায় গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।