নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঠমান্ডু: নেপালে সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে কড়া মনোভাব নিলেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী। আগামী রবিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে জোট বেঁধে নতুন সরকার গঠনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। ওই সময়ের মধ্যে নতুন সরকার গঠন না হলে চরম পদক্ষেপ নেবেন বলেও রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির হুঁশিয়ারির পরেই নড়েচড়ে বসেছে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জোট সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
গত ২০ নভেম্বর নেপালের নতুন সংসদের জন্য ভোট নেওয়া হয়েছিল। যদিও কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেস ৮৯ টি আসনে জিতে বৃহত্তম দলের মর্যাদা পেয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল সিপিএন-ইউএমএল পেয়েছে ৭৯টি আসন। পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডের নেতৃত্বাধিন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদী জিতেছে ৩২ আসনে। প্রথমবার নির্বাচনে লড়ে রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি পেয়েছে ২০ আসন। জনতা সমাজবাদী পার্টি ১২ ও জনমত পার্টি ছয় আসনে জয়ী হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নেপাল নির্বাচন কমিসনের পক্ষ থেকে নব নির্বাচিত সাংসদদের নামের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নতুন সরকার গঠনের বিষয়টি বিশ বাঁও জলে। ইতিমধ্যেই জোট বেঁধে সরকার গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ছোট দলগুলির সঙ্গে দফায়-দফায় আলোচনায় বসেছেন। যদিও তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। নতুন সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে এবার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী।