নিজস্ব প্রতিনিধি, ইসলামাবাদ: সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গণনায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। সেনার নির্দেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থিত প্রার্থীদের ফলাফল উল্টে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এবার গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাতিল চেয়ে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈশার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আগামী সোমবার মামলার শুনানি হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ যাতে ক্ষমতায় না ফিরতে পারে তার জন্য নখদাঁত বের করে ঝাঁপিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও নির্বাচন কমিশন। যদিও কোনও লাভ হয়নি। যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়েছিল তার মধ্যে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত প্রর্থীরা ৯২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (-এন) ৭৫টি এবং বিলাওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪টি আসনে জয়ী হয়। সরকার গঠনের জন্য ম্যাজিক ফিগারে কোনও দলই পৌঁছতে পারেনি। যদিও পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের নির্দেশে জোট বেঁধে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) ও পিপিপি।
সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগ তুলে গোটা ভোটপ্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলী খান নামে এক নাগরিক। আর্জিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন সরকার গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়ার পাশাপাশি ৩০ দিনের মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করানোর নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।