নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: একা শাহবাজ শরিফে রক্ষা নেই, এবার দেশকে লুটতে দোসর হচ্ছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। হাজার-হাজার কোটি টাকা লুটের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জেলের ঘানি টানা থেকে বাঁচাতে যাবতীয় সাজা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান সরকার। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নওয়াজ শরিফ ফের যাতে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে দেশকে লুঠ করতে পারেন সেই সুযোগ করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা কুখ্যাত ‘লুটেরা’ শাহবাজ শরিফ।
সোমবার এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘কোনও দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা বাতিল বা স্থগিত করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ও পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকার উভয়ের রয়েছে। এই বিধান পিএমএল (এন) সুপ্রিমোসহ অন্যদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতে পারে।’
পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। তার পরেই তাঁর নামে একাধিক দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন আদালত আল-আজিজিয়া স্টিল মিল দুর্নীতি মামলায় নওয়াজকে সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। পাশাপাশি অ্যাভেনফিল্ড সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলায় ১১ বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। সঙ্গে ১৩০ কোটি পাকিস্তানি মুদ্রা জরিমানাও করা হয়। ২০১৯ সালে লাহোর হাইকোর্ট নওয়াজের সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়। কিন্তু জেল খাটার ভয়ে লন্ডনে গিয়ে আর দেশে ফেরেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে ছোটভাই শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরেই পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয় নওয়াজকে। এমনকী ঈদের পরে পাকিস্তানে ফেরার কথা রয়েছে তার।