আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশুপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে মেনে নিল দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। শুক্রবার সরকারি পদস্থ আধিকারিক ও পশুপ্রেমীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিলেন দেশটির শাসক দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নীতি নির্ধারণ কমিটির প্রধান ইয়ু ইইউ ডাং। ওই বৈঠকেই তিনি জানান, ‘চলতি বছরেই কুকুরের মাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ হবে দেশে। সংসদে এ বিষয়ে এক বিলও পেশ হবে।’ সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, ‘দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হচ্ছে।’
দক্ষিণ কোরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার পক্ষে সরব হয়েছিল পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। কিন্তু খাদ্যরসিক ও কুকুরের মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে কোনও রকম ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটেনি দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। যদিও তরুণ ও যুব প্রজন্মের একাংশ কুকুরের মতো অবলা জীবদের নির্বিচারে হত্যঅ করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে দেশের শাসকদলের প্রধান নীতি নির্ধারক ইয়ু ইইউ ডাং স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর সরকার। সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই এ বিষয়ে বিল পেশ হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাংসদরাও কুকুরদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড বন্ধের ব্যাপারে এগিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।’ দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষিমন্ত্রী চাং হাওয়াং কিউন জানিয়েছেন, ‘কুকুরের মাংস ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের কীভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ করা যায়, সে বিষয়ে বিশেষ চিন্তাভাবনা চলছে। কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার কারণে যাতে ওই ব্যবসায়ীরা কর্মহীন হয়ে না পড়েন তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর সরকার।’