আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লালফৌজের রক্তচক্ষুকে পরোয়া না করে পাল্টা আঘাত হানল তাইওয়ান। এই প্রথমবার চিনা ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তারা। গত জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে চলছিল চিন। তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে সামরিক মহড়া চালানোর পাশাপাশি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়েও বারেবারে অনুপ্রবেশ করছে ড্রাগনরা। চিনের এই আগ্রাসনকে যে তারা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবে না ড্রোনকে গুলি করে তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিল তাইওয়ান।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাইং-ওয়েন আগেই চিনকে পাল্টা মারের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার তাইওয়ান ড্রাগনকে বুঝিয়ে দিল, কেবল কথায় নয়, কাজেও তারা লালফৌজের মোকাবিলা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। চিনা ড্রোনকে গুলি করে নামানোর চেষ্টার এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাইওয়ান সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছে, গুলি চালানোর পরই চিনা ড্রোনগুলি বেজিংয়ের দিকে পালিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি চিনা ড্রোন নিয়মিত তাদের ভূখণ্ডের মধ্যে চক্কর কাটছিল বলে জানিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। এবার তাদের জবাব দিল তাইওয়ান। যদিও চিন এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে চিনা ড্রোনের তাইওয়ানের ভূখণ্ডে চক্কর কাটার যে দাবি, তা সোমবারই উড়িয়ে দিয়েছিল বেজিং। এখন দেখার তাইওয়ানের পাল্টা মারের পরে তারা বিষয়টি মেনে নেয় কিনা।
উল্লেখ্য, মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন। যুদ্ধের আশঙ্কা উসকে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ‘অবরোধ’ করে সামরিক মহড়া শুরু করে লালফৌজ। তাইওয়ান প্রণালী ও সংলগ্ন অঞ্চলে রীতিমতো যুদ্ধের প্রস্তুতি চালাচ্ছে কমিউনিস্ট দেশটি। এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ শুরু হলে হানাদার বাহিনীকে পাল্টা মার দিতে তারা যে তৈরি তা বুঝিয়ে দিল তাইওয়ানের সেনা। যদিও এর আগেও চিনকে ‘জবাব’ দিতে দেখা গিয়েছে তাইওয়ানকে। চিনের যুদ্ধবিমানের টহলদারির জবাবে পাল্টা তারাও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। কিন্তু এমন প্রত্যক্ষ জবাব এই প্রথম।