আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এক ভূমিকম্প মনে করিয়ে চার বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা। ১৯৯৯ সালে আরও একবার দুলে উঠেছিল। কম্পনের মাত্রা ছিল ৭,৪ রিখটার স্কেল। সেই ভূমিকম্প কেড়ে নেয় ১৭ হাজার মানুষের জীবন। কত মানুষ জখম হয়েছেন, সরকারের কাছে তাঁর হিসেব নেই। ১৯৯৯-য়ে সত্যিশালী ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকটি তীব্র আফটারশক অনুভূত হয়। তাসের ঘরের মতো একটার পর একটা বাড়ি ভেঙে পড়তে শুরু করে। ১৭ হাজার মানুষের মধ্যে শুধু ইস্তান্বুলেই প্রাণ হারান এক হাজার মানুষ।
সেই ভূমিকম্পের স্মৃতি আজও মানুষের মনে টাটকা। ২০২০-তেও কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক। প্রাণ হারান ৪০ জন। ১৯৯৯ থেকে ২০২৩-য়ে ফেব্রুয়ারি – চারবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক। ২০২০-তে দুইবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক। প্রথমবার জানুয়ারিতে, দ্বিতীয়বার অক্টবরে। জানুয়ারির ভূমিকম্পে প্রাণ হারান ৪০জন। আর অক্টোবরে কম্পনের প্রাণ হারান একশোর বেশি। গুরুতর জখমের সংখ্য়া এক হাজারের বেশি। ১৯৯৯-য়ের ভূমিকম্প রাজধানী কার্যত গ্রাউন্ড জিরোতে পরিণত হয়ে। এবার কেঁপে উঠল সোমবার ভোরে। একবার নয়, পরপর তিনবার। কার্যত গোটা তুরস্ককে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রথম কম্পনের মাত্রা ৭.৮। দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭ রিখটার স্কেল। কম্পন প্রভাবিত এলাকায় শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ধ্বংসস্তুপের ছবি। খালি আর্তনাদ আর হাহাকার। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্য়া বেড়ে হয়েছে ১৮০। কতজন আহত, সরকার তার কোনও হিসেব দিতে পারছে না।