আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা যত গড়াচ্ছে ততই তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতীয় সময় সন্ধে সাতটা অনুযায়ী, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দুই দেশে দুই হাজার তিনশোর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন আরও অসংখ্য মানুষ। ফলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে শুধু প্রকৃতির ছোবলে যে মৃত্যুর ঢল নেমেছে তাই নয়, উদ্ধারকার্যেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রকৃতি। লাগাতার বৃষ্টি, তুষারপাত আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে উদ্ধারকার্য চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। বহু জায়গায় বৃষ্টি আর তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকার্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা শক্তিশালী ভূমিকম্পে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশো ভবন গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ৮৪ বছর বাদে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্পের সাক্ষী থাকল দেশটি। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েকশো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভূমিকম্পের সময়ে অনেকেই ঘুমিয়ে ছিলেন। ফলে প্রাণ নিয়ে পালানোর সময়টুকু পাননি তাঁরা। ঘুমের ঘোরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন স্থানীয বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যেই সর্বশক্তি নিয়ে উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি আর তুষারপাতের কারণে উদ্ধারকার্য চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে সেখানকার আবহাওয়া যথেষ্টই প্রতিকুল। ফলে উদ্ধারকার্যে গতি আনা যাচ্ছে না। আর সঠিক সময়ে উদ্ধারকার্য চালাতে না পারায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়া বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধারকারীরা পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।’