নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) আগে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বাংলার(Bengal) ২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের(Migrant Workers) নিয়ে চলে এলেন বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা বিমার(Mediclaim) আওতায়। এর ফলে বাংলার যে সব পরিযায়ী শ্রমিকেরা এবার থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাবেন, সেখানে গিয়ে যদি তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বা দুর্ঘটনার সন্মুখীন হন তাহলে সেই রাজ্যের কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে চিকিৎসা করাতে যে টাকা খরচ হবে তার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিয়ে দেবে। গতকাল অর্থাৎ ১২ মার্চ উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে দীনবন্ধু মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী জনজাতি, সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডগুলোকে নিয়ে যে বৈঠক করেছিলেন সেই বৈঠক থেকেই এই প্রকল্পের সূচনা ঘটান তিনি।
এদিন অর্থাৎ ১৩ মার্চ উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘২৮ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য পৃথক স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের অনেক শ্রমিক-মজদুর রয়েছেন, যারা বাইরে কাজ করেন। ওদের হাতে একটা আলাদা স্বাস্থ্যস্বাথী কার্ড দিচ্ছি। এরা বাইরে কাজ করেন। যখন শরীর খারাপ হয়, তখন ঘরে খবর পাঠান। যে ঘরের মানুষ তা ভাববে, দেখবে। কিন্তু তাঁদের চিকিত্সা করানোর টাকা থাকে না। এমন শ্রমিক-মজদুরদের জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আলাদা ভাবে দিচ্ছি। ওই কার্ডে পরিবারপিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কখনও, কোনও সমস্যা হলে তাঁর দায়িত্ব নেব, আমরা তাঁকে দেখব।’
নবান্ন সূত্রে খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য যে বাজেট পেশ হয়েছিল তাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য বিমার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। পরে তা রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকেও পাশ করানো হয়। সে অনুযায়ী, যে পরিযায়ী শ্রমিক, যে রাজ্যে কর্মরত, সেখানে স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ পাওয়া যাবে। প্রশাসনিক দাবি, এ ক্ষেত্রে Insurance’র বদলে Assurance ভিত্তিতে কাজ করা হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার বিমার Premium দেওয়ার বদলে চিকিত্সার খরচ মিটিয়ে দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়া চালানোর জন্য তৃতীয় পক্ষ ব্যবহার করা হতে পারে। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলার বাসিন্দা প্রায় ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করা আছে রাজ্য সরকারের পোর্টালে। বাকি ৬ লক্ষের নাম নথিভুক্ত করানোর কাজ চলছে।